- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৪ মার্চ ২০২৩, ১৮:১৬
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৫ বছর ধরে আমরা আন্দোলনে আছি, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে থাকব। আমরা শান্তির সাথে আন্দোলন করছি, শান্তির সাথে এই আন্দোলনে থাকব। আমাদের বাধা দিলে সেই বাধা অবশ্যই আমরা অতিক্রম করে যাবো। জনগণ আমাদের সাথে আছে। এই জনগণ বাধা প্রতিরোধ করবেই, করবে।’
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে উত্তরা পূর্ব থানার আউয়াল এভিনিউ সড়কে পদযাত্রা-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করেছে যে তারা এভাবে গত দুইটা নির্বাচন করেছে এবারো ওইভাবে নির্বাচন করে নিয়ে যাবে। আর আবারো সেইভাবে জনগণকে শোষণ করবে, জনগণের সম্পদ লুট নিয়ে যাবে। কিন্তু এবার মানুষ এটা হতে দেবে না। মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আন্দোলনের পর আন্দোলন হচ্ছে, রাজপথে আন্দোলন হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সেই আন্দোলনকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এবার আমরা আর কোনো নির্বাচন, সেই তামাশার নির্বাচন, আওয়ামী লীগের নির্বাচন হতে দেবো না, এদেশের মানুষ হতে দেবে না।’
নেতা-কর্মীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান। আমাদের এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, আমাদের এই আন্দোলন জনগণের অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন, আমাদের এই আন্দোলন সমগ্র মানুষের যে কথা বলার অধিকার, সেই অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান আপনারা নিজের মতো করে কাটা-ছেঁড়া করে নিজেদের মতো করে ছাপিয়ে নিয়েছেন? জনগণের কোনো অধিকার নাই সেই সংবিধান?’
তিনি বলেন, “যেখানে মানুষ ভোট দিতে পারে না, ভোট দিতে যায় না। আপনাদের মনে আছে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচন মানুষ ভোটের দিতে পারে নাই, মানুষ ভোট দিতে যায়নি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে কুকুর-বিড়াল দেখা গেছে। জাগপার মরহুম নেতা শফিউল আলম প্রধান বলেছিলেন, ‘কুত্তা মার্কা নির্বাচন’।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আবার এই সরকার একটা পাতানো নির্বাচন, সাজানো নির্বাচনের আয়োজন করতে চলেছে। তারা বার বার করে বলছে, ভোট হবে এই সরকারের অধীনে। এই সরকারের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে ভোট কখনো নিরপেক্ষ হতে পারে? এই ভোট নিরপেক্ষ হতে পারে না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এদেশের মানুষ এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। সবার আগে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। তবেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সেই কমিশনের মাধ্যমেই জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের একটা সরকার গঠন করতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তর মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।