চোরের_মায়ের_বড়_গলা!
———————————————————
প্রিয় পাঠক, এ মহিলাটিকে কি চিনতে পারছেন? ইনিই হলেন সেই উসকো খুশকো চুলের মহিলা মডারেটর, যিনি ৭১টিভির টকশোতে ইসলাম, মুসলমান, কুরআন-সুন্নাহ, আলেম উলামাদের দু’কথা বলতে পারলে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। ইনিই তাদের একজন, যারা করোনায় মৃতদের পুড়িয়ে ফেলার প্রস্তাব করে ছিল! বিবাড়িয়ার মাওলানা যুবাইর আহমাদ আনসারী সাহেব রহ. এর জানাযায় জনসমাগগম নিয়ে যারা পেঁচাল করেছিল, তিনি তাদের একজন। ইনিই সে মহিলা, যিনি শাহরিয়ার কবিরদের সাথে মিলে পাাঠ্যপুস্তক, শিক্ষানীতি, নারীঅধিকার, সমকামিতা এবং মাদরাসা-মসজিদের নানা বিষয় নিয়ে টকশোতে টাক মারেন। মডারেটর তো হয় আম্পায়ারের মতো নিরপেক্ষ, কিন্তু তিনি টকশো খেলায় স্বতীর্থদের পরাজয় দেখে নিজেও কোমরে কাপড় পেঁচিয়ে নেমে যান! (আমি উনার ব্যাপারে অত শত জানি না। টকশোও দেখিনা। চলতে ফিরতে যা নজরে পড়েছে, তার খানিক বললাম। পাঠক বাকিগুলো আপনারা যোগ করুন।)
হাঁ, ইনিই হলেন সে বিখ্যাত/কুখ্যাত সামিয়া রহমান। একাত্তর টিভির সামিয়া রহমান’।
কিন্তু আপনি কি জানেন, তিনি একজন নকল শিক্ষিত। থিফ ডক্টর! চুরি করে যিনি থিসিস লিখেছেন। যার থিসিসের ৭০/৮০ভাগই বিদেশি লেখকদের থেকে চুরি করা। আর সেই ডক্টর সার্টিফিকেট নিয়ে তিনি ও তার দুই সহযোগী বিশ্ববিদ্যালয় চাকুরি হাতিয়ে নিয়েছেন।
আজ এবার তিনি ধরা পড়েছেন। তদন্ত কমিটির তদন্তে তিনি ও তার সহযোগীরা চোর প্রমাণিত। তদন্ত কমিটিকে তাদের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সাধুবাদ জানাই। তবে যে শাস্তি (শুধু পদাবনতি) তারা নির্ধারণ করেছেন, তার সাথে আমরা একমত নই। এসব জ্ঞানপাপীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। এসব নকল শিক্ষিত, নকল মুক্তিযোদ্ধারাই সমাজ ও রাষ্ট্রের বিষফোঁড়। এদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় সহ সব জায়গা থেকে বহিস্কার ও বয়কট করতে হবে।
‘চোরের ১০দিন গেরস্তের একদিন’, ‘আল্লাহর মাইর ধারনার বাইর’ এসবের আপনি যেভাবেই ভাবেন, ভাবতে পারেন। তবে এতবড় চুরি করেও তিনি যে টকশোতে গলাবাজি করতেন, তাতে বাংলা বাগধারার ‘চোরের মায়ের বড়গলা’ কথাটির চিরন্ততাই প্রমাণিত হলো।
Saifuddin Gazi