স্টাফ রিপোর্টার
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার
ঐতিহাসিকভাবে সেরা সামরিক কুচকাওয়াজ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০তম বার্ষিকী এবং যুদ্ধের সমাপ্তি স্মরণে আয়োজন করা ওই অনুষ্ঠানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পাশাপাশি ইরান, তুরস্ক, ভারত, বাংলাদেশ, আজারবাইজান, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াসহ অন্তত ২০টি দেশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যদিও বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন চত্বরে আমন্ত্রণ পাননি যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশের কোনো নেতা। যা বিশ্ব রাজনীতির জন্য নতুন এক বার্তা। শি’র এই আয়োজনে উপেক্ষিত ছিলেন পশ্চিমা নেতারা। জাঁকজমকপূর্ণ এই সামরিক আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন বেইজিংয়ের সামরিক আয়োজনে তার উপস্থিতি ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। বলাই বাহুল্য চীনের এই কুচকাওয়াজে গভীর নজর রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতির বিপরীতে হিমশিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব।
ট্রাম্পের এই কঠোর শুল্কনীতির হাত থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতও রক্ষা পায়নি। রুশ তেল আমদানি তথা পশ্চিমাবিরোধী ব্লকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটাই কি দিল্লির জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে কিনা তা নিয়ে নানা আলোচনা জারি আছে। বিশ্বরাজনীতির নতুন এই প্যারাডাইমে বেইজিংয়ের সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার উপস্থিতি পশ্চিমা ব্লক কোন নজরে দেখছে সেদিকে মন দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কেননা, ৩রা সেপ্টেম্বরের বিশাল ওই সামরিক মহড়ার মাধ্যমে চীন যে পশ্চিমাবিরোধী শক্তিকে উজ্জীবিত করার ব্রত পালন করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শান্তি অথবা যুদ্ধের একটি বেছে নেয়ার মুখোমুখি বিশ্ববাসী- ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে শি’র এই বক্তব্য বৈশ্বিক রাজনীতির নতুন গতি পথের বার্তা দেয়। তার এই বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হালকাভাবে নিয়েছেন বলে মনে করার কোনো কারণ নেই বলেই মত বিশ্লেষকদের।