- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ আগস্ট ২০২০
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের ৩য় পর্যায়ের ট্রায়ালের আবেদন করেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি দেশের কোভিড ডেডিকেটেড সাতটি হাসপাতালের ৪ হাজার ২শ’ স্বাস্থ্য কর্মিদের মাঝে এই ট্রায়াল সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে। তবে সরকার এটির পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়সহ অন্যান্য দেশের অন্যান্য ভ্যাকসিনের ব্যাপারেও সজাগ রয়েছে।’
সচিব মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশ সুবিধা পাবে উল্লেখ করে আবদুল মান্নান বলেন, ‘বিল গেইটসের গ্যাভী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশকে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে। সেপ্টেম্বরে তাদের পরবর্তী বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধির উপস্থিতি চেয়েছে। সুতরাং ভ্যাকসিন আবিস্কারের পর গ্যাভীর মাধ্যমেও কিছু ভ্যাকসিন দেশে আগে-ভাগেই আসবে।’
বর্তমান বিশ্বের ৬টি কোম্পানি ট্রায়ালের ৩য় ধাপে রয়েছে। দেশে সময়মতো ট্রায়াল দেয়া হলে চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানি ভ্যাকসিন দেশের সাধারণ মানুষের দেহে প্রয়োগ করতে অন্তত ৬ মাস এর মতো লাগতে পারে বলে সভায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান। এই ভ্যাকসিন ১৮-৫৯ বছর বয়সের স্বাস্থ্যকর্মিদের মাঝেই প্রথমে দেয়া হবে। ৩য় ধাপের পর সবার জন্য উন্মুক্ত করা যেতে পারে বলেও বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ^স্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম, অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) মো. মোস্তফা কামাল, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাসহ অন্যান্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সূত্র : বাসস