মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ মে বাংলাদেশের ব্যাপারে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই ভিসা নীতিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাংলাদেশে যারা বাঁধা সৃষ্টি করবে তাদের ভিসা দেয়া হবেনা। এমনকি তাদের পরিবার-পরিজনকেও ভিসা দেয়া হবে না বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ভিসা নীতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। যদিও আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় রাজনৈতিক দলই বলছে যে এই ভিসা নীতি তাদের পক্ষে। এর ফলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম হলো এমন দাবি দু’পক্ষেরই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একা না, এখন ওয়াংশিটনের এই ভিসা নীতি অনুসরণ করবে তাদের প্রতিবেশী দেশ কানাডাও। এমন তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কানাডা এই ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে না। সাধারণত বিশ্ব কূটনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কানাডা মোটামুটি সেটা অনুসরণ করে। বিরল ব্যাতিক্রম ছাড়া মার্কিন নীতি অনুযায়ী কাজ করা কানাডার পররাষ্ট্র নীতির একটি মৌলিক বৈশিষ্ট। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই ভিসা নীতি যখন ঘোষণা করা হয় তখন অনেকেই বলেছিলেন যে কানাডাও হয়তো একই পথে হাটবে। তবে কানাডা এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন থেকেই এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করেছে। তারা যদি কাউকে মনে করে যে তিনি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায় তবে তাকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে, তার পরিবারের সদস্যদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। কিন্তু কানাডা তেমনটি করবেনা বলে জানা গেছে। বরং বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কীভাবে সম্পন্ন হয় সেটি কানাডা সরকার আগে দেখতে চায়। নির্বাচনের পর এই নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয়, অংশগ্রহণমূলক না হয় সেক্ষেত্রে যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে কাজ করেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধার সৃষ্টি করেছেন বলে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ভিসা প্রধানের ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।