ঘুরে দাঁড়ানো মালয়েশিয়ার ফুটবল

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  •  ১৫ জুন ২০২২, ২০:৪৪

ঘুরে দাঁড়ানো মালয়েশিয়ার ফুটবল – ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের কাছে ফিলিপাইনের হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততেই হবে মালয়েশিয়াকে এমন সমীকরণে শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলে লাল সবুজদের বিপক্ষে মালয়রা জয় পেয়েছে। যা তাদের ৪২ বছর পর এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে গেছে।

এর আগে ১৯৮০ সালে তারা ফাইনাল রাউন্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ২০০৭ সালেও তাদের উপস্থিতি ছিল চূড়ান্ত পর্বে। অবশ্য তা ইন্দোনেশিয়ার সাথে যৌথ আয়োজক হওয়ার সুবাদে।

সাড়ে তিন যুগ পর আসিয়ান অঞ্চলের এই দলটি, এশিয়ান ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে কোয়ালিফাই করাটা দেশটির ঘুরে দাঁড়ানোরই প্রমান। ‘ই’ গ্রুপের রানার্সআপ হওয়ার সাথে পাঁচ সেরা রানার্সআপের একটি হয়ে ফাইনাল রাউন্ডে।

মালয়েশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন আবু বকর জানান, বর্তমানে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১৫৪তে তারা। যদিও মালয়েশিয়ার ফুটবল আরো ওপরে থাকার কথা ছিল। ২০০৮ সালে দেশটিতে পাতানো খেলা বিরোধী ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হয়। ১০০ ফুটবলার ও কোচ নিষিদ্ধ হয়। ওই সময় কয়েকজন সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়। এদের সিংহভাগই ছিল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। যারা নিকট ভবিষ্যতের জাতীয় দলের সদস্য ছিল। এদের হারানোর ফলই জাতীয় দল প্রচণ্ড ধাক্কা খায়। এখন ওই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশ প্রশাসনের ওই হস্তক্ষেপের পরও বন্ধ হয়নি মালয়েশিয়ান ফুটবলে পাতানো খেলা। এখনো দুই-একটা ঘটনা ঘটছে। বছর কয়েক আগে একই অভিযোগে পাঁচজন বিদেশী ফুটবলারকে বের করে দেয়া হয় মালয়েশিয়া থেকে। ২০১১ থেকে পাতানো খেলারোধে সিজনের শুরুতে সব ফুটবলার, কর্মকর্তা ও কোচের সম্পত্তির হিসাব নেয় স্থানীয় প্রশাসন। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ওপরও নজর রাখে।

পেশাদার মালয়েশিয়ান ফুটবল লিগ এমএফএল নামে পরিচিত। এই এমএফএল নামক কোম্পানী চালায় লিগ। অবশ্য ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া এই কোম্পানী মালয়েশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে। লিগে প্রতিদলে পাঁচজন করে বিদেশী খেলতে পারে।

ফেডারেশন সেক্রেটারিফুটবল জানান, ফুটবল দেশের এক নাম্বার খেলা। দেশটির ফুটবল অবকাঠামো বেশ উন্নত। তাদের ক্লাব জহুর দারুল তাজিম ইতিহাস এই প্রথম এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬-তে উঠেছে। ফুটবল নিয়ে প্রচণ্ড উন্মাদনা মালয়েশিয়াতে। জাতীয় দলের নিজস্ব সমর্থক গোষ্ঠী আছে আলট্রাস মালয়েশিয়া নামে। এরাই জাতীয় দলের অন্যতম প্রাণ। এর সদস্যরা নিজ খরচেই জাতীয় দলের খেলা দেখতে বিদেশে যায়। দল হারলেও তাদের জাতীয় ফুটবলারদের উৎসাহ দানে কমতি থাকে না।

বুকিত জলিল ও শাহ আলম নামে মালয়েশিয়ার দু’টি বড় স্টেডিয়াম আছে। ৮০ হাজার দর্শক বসতে পারে বুকিত জলিলে। শাহ আলমের ধারন ক্ষমতা এক লাখ। জহর বারুতে ২০২২ সালে স্থাপিত তৃতীয় বৃহৎ স্টেডিয়ামটির ধারন ক্ষমতা ৪০ হাজার।