দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের খেলায় মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে গায়ের জোরে নির্বাচন করলে দেশবাসী তা মানবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ‘প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন’ থেকে সরকারকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘না হলে জনগণের রুদ্ররোষ থেকে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা রেহাই পাবে না।’ ‘পাতানো নির্বাচনে’ কোনো সহযোগিতা করা ও ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকাতেও তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয় অর্থনীতি ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত মন্তব্য করে ইউনুছ আহমাদ বলেন, ব্যাংকের আমানত ও দেশের রিজার্ভ লুটপাটের কারণে অর্থনীতি এখন ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত। ক্ষমতার মোহে অন্ধ সরকার গার্মেন্ট শিল্পকে মারাত্মক ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণ যখন অভাবের তাড়নায় দিগ্বিদিক ও দিশেহারা, সরকার তখন খেল-তামাশার নির্বাচন নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব আরও বলেন, বর্তমান সরকারপ্রধানের কার্যক্রম দেখে এটা পরিষ্কার যে প্রতিশোধপরায়ণ মানসিকতা নিয়ে তিনি দেশ শাসন করছেন। যখন দেশের ঘরে ঘরে অভাব, মানুষ যখন নির্যাতিত ও অধিকারবঞ্চিত, তখন ঢোল-তবলা নিয়ে আওয়ামী লীগের উল্লাস দেখে জনগণ ক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রতি মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃণা ক্রমেই বেড়ে চলছে। জনসমর্থন হারিয়ে দিশাহারা হয়ে সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে।
নতুন শিক্ষা কারিকুলামের বিষয়ে এই রাজনীতিক বলেন, নতুন প্রজন্মকে মেধাশূন্য করার নীলনকশা চলছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের চাওয়া–পাওয়া, আবেগ-অনুভূতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভিনদেশি কারিকুলাম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশের সচেতন অভিভাবক ত্যক্তবিরক্ত হয়ে এই কারিকুলাম বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, আশরাফ আলী, মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম আলো