গত ১০ বছরে বড় প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতাই সঙ্গী ভারতের

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ১১ জুন ২০২৩, ২১:০৯
গত কয়েক বছরের মধ্যে নেতৃত্বের ভার ধোনি থেকে বিরাট কোহলি হয়ে রোহিত শর্মার ওপর পড়েছে। কিন্তু ফল বদলায়নি। – ছবি : সংগৃহীত

২০১৩ সালে শেষবার আইসিসি প্রতিযোগিতায় জিতেছিল ভারত। ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। তারপর থেকে গত ১০ বছরে বার বার বড় প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছে ভারত।

রোববার লন্ডনের ওভালে শেষ হওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিরাট ব্যাবধানে হেরে যাওয়া ভারতের ব্যর্থতার সর্বশেষ প্রদর্শনী ।

গত কয়েক বছরের মধ্যে নেতৃত্বের ভার ধোনি থেকে বিরাট কোহলি হয়ে রোহিত শর্মার ওপর পড়েছে। কিন্তু ফল বদলায়নি। বার বার আইসিসি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল বা ফাইনালে গিয়ে হারতে হয়েছে দলকে। গত ১০ বছরে ৮ বার আইসিসি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল বা ফাইনালে উঠেছে ভারত। ৮ বারই হেরেছে তারা।

তিন বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপে হারের বদলা নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছিল তারা। বাংলাদেশের মিরপুরে প্রথমে ব্যাট করে ১৩০ রান করে ভারত। বিরাট ৭৭ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। কুমার সঙ্গকারা ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেবার হারতে হয়েছিল ভারতকে। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত।

দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। সেমিফাইনালে মুম্বাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ১৯২ রান করে ভারত। কিন্তু তাতেও জয় আসেনি। লেন্ডল সিমন্স ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারাই হয়েছিল।

ইংল্যান্ডের ওভালে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় বোলারদের ব্যর্থতায় ৪ উইকেটে ৩৩৮ রান করে পাকিস্তান। শতরান করেন ফখর জামান। জবাবে ভেঙে পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং। পাকিস্তানের কাছে ১৮০ রানে হারতে হয় ভারতকে।

আরো একটি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারতে হয় ভারতকে। এবার প্রতিপক্ষের নাম নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডে সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৩৯ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। সেই ম্যাচের পরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন ধোনি।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল ভারতকে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ২১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করে ২৪৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে কোহলিরা ১৭০ রানে অলআউট হয়ে যায়। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে সেই ম্যাচ জিতে যায় নিউজিল্যান্ড।

অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে ভারত। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড। ১০ উইকেটে ম্যাচ হারে ভারত।

দ্বিতীয়বারও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছে ভারতকে। প্রথম ইনিংসে স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের শতরানে ভর করে ৪৬৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ভারত প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৭০ রানে ডিক্লেয়ার করে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৩৪ রানে। ২০৯ রানে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া।