নিজস্ব প্রতিনিধি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নূর হোসেনের আত্মত্যাগ এদেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছিল।
সোমবার (০৯ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হন নূর হোসেন। তখন থেকে এই দিনটি নূর হোসেন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে আমি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মহান শহীদ নুর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
তিনি বলেন, নুর হোসেনের আত্মদানের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে সংঘটিত হয়েছিলো সফল ছাত্র গণঅভ্যুত্থান। পতন হয়েছিলো নির্দয় স্বৈরশাসকের। মুক্ত হয়েছিলো বহুদলীয় গণতন্ত্র। আজও গণতন্ত্র পুণ:রুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদ নুর হোসেন আমাদের প্রেরণা। তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নুর হোসেনের সেই আত্মদানকে আমরা বৃথা যেতে দিতে পারি না। নব্বইয়ে অর্জিত গণতন্ত্রের পথচলাকে আবারো বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনের পথে সকল বাধা দূর করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনশাসন কায়েম করতে হবে।
তিনি বলেন, নুর হোসেনের মতো সাহসিকতা নিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমে জাতির ওপর চেপে বসা চরম দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। আজকের এই দিনে এটাই হোক আমাদের শপথ।