খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন না-এমন কোন শর্ত মুক্তির সময় ছিল না: আনিসুল হক

 আমার দেশ
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সাংবাদিকদের মুখোমুখি আইনমন্ত্রী

সাংবাদিকদের মুখোমুখি আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না-শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে নিজের বাড়িতে থাকার অনুমতিতে এমন কোন শর্ত ছিল না।
সোমবার (৬ই ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজদের ‘১১তম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একথা বলেছেন।
অথচ, গত ২৬শে জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছিলেন যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যে আবেদন করা হয়েছিল, সেখানে মুচলেকায় ছিল, তিনি রাজনীতি করবেন না। তার ভিত্তিতে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার রাজনীতি না, এমন কোন মুচলেকা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে আনিসুল হক বলেন, একজন সংসদ সদস্য যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা একদম ভুল না। তবে আমার যতদূর মনে পড়ে এমন কোন শর্ত ছিল না।
আনিসুল হক বলেন, আমি পত্রিকার মাধ্যমে শুনেছি, তার (খালেদা জিয়া) ভাই শামীম ইস্কান্দার বিএনপিকে বলেছেন, রাজনৈতিক প্রোগ্রামে খালেদা জিয়াকে যেন জড়িত না করা হয়। সেক্ষেত্রে কেউ যদি এমন বক্তব্য দিয়ে থাকেন তাহলে খুব একটা ভুল বক্তব্য দেননি।

এদিকে গতকাল রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ডাটা সুরক্ষা আইন পাস হলে অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার এই আইন পাস করা থেকে পিছিয়ে আসবে কিনা? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, ডাটা সুরক্ষা আইন প্রত্যেক দেশের জন্য প্রয়োজন। সেটা তিনিও (পিটার হাস) বলেছেন। এ বিষয়ে ফের স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। আলোচনার মাধ্যমে কোনো অসুবিধা যদি এই খসড়া আইনে থেকে থাকে, তাহলে তা সংশোধন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমি আশা করবো, ডাটা সুরক্ষা আইন পাস হলে অনেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান চলে যাবে- ঢালাওভাবে এমন কথা বলা থেকে সবাই বিরত থাকবো।

বিচারপতি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।