ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্ত, যিনি খালিস্তানি নেতা পান্নুনকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত, তাকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে আমেরিকায়। আমেরিকার নির্দেশেই বিদেশের মাটিতে গ্রেপ্তার হন ৫২ বছর বয়সী নিখিল। উল্লেখ্য, খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছকের মামলায় অভিযুক্ত নিখিল। ২০২৩ সাল থেকেই চেক জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। এই নিখিলের বিরুদ্ধে আমেরিকায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আমেরিকা নিখিলকে তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চেয়েছিল। পান্নুনকে হত্যার ছক কষার অভিযোগে ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন নিখিল। চলতি বছরের ৩০ জুন নিখিলকে গ্রেপ্তার করে চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশ। তার পর তাকে মার্কিন প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানেই তার বিচার চলছে।
নিখিলের অভিযোগ, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না দেখিয়ে কেবল মার্কিন এজেন্টদের নির্দেশেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও এনেছেন নিখিল।
বর্তমানে নিখিলকে ব্রুকলিনের ফেডারেল মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে, যেখানে তিনি একজন বন্দী হিসেবে তালিকাভুক্ত। ওয়াশিংটন পোস্ট ছিল প্রথম সংবাদমাধ্যম যে তার প্রত্যর্পণের খবর দেয়।
এদিকে মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের তরফে দাবি করা হয়, খলিস্তানি নেতাকে হত্যার জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারে রফা হয়েছিল। অগ্রিম বাবদ ‘আততায়ী’-কে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দেয় নিখিল গুপ্তা । তবে সেই ‘আততায়ী’ আদতে মার্কিন প্রশাসনেরই ‘আন্ডার কভার এজেন্ট’ ছিল। এরপরই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় মার্কিন প্রশাসন। পান্নুনকে আমেরিকায় যে হত্যা করার ছক কষা হয়েছিল তা নিয়ে নাকি ভারতকে আগেই সতর্ক করে আমেরিকা। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেই হামলার ছকে দিল্লির যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ওয়াশিংটন পোস্টের এই প্রতিবেদন খারিজ করে ভারত। পরে ওয়াশিংটনের অনুরোধে চেক প্রজাতন্ত্র গ্রেফতার করেছিল নিখিলকে। আর এবার নিখিলকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে নিজেদের দেশে নিয়ে গেল আমেরিকা।
সূত্র : এনডিটিভি
manabzamin