ঢাকা
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘বিদেশি ক্রেতারা যেখানে সুযোগ পান, সেখানেই চলে যান। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা ক্রেতাদের বাংলাদেশের বিকল্প উৎস খোঁজার সুযোগ করে দিচ্ছি।’
ফারুক হাসান বলেন, বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে কারখানাগুলো ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে সচল রাখতে হচ্ছে। আবার লম্বা সময় জেনারেটর চালানোর কারণে জেনারেটরগুলো ঘন ঘন বিকল্প হচ্ছে। এতে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। সরকারের কাছে অনুরোধ, রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হোক। উৎসে কর কমানোর দাবিও জানান তিনি।
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর প্রধান কার্যালয়ে গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘বিদায়ী অর্থবছরে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসেও ভালো প্রবৃদ্ধি হয়। গত সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমেছে সাড়ে ৭ শতাংশ। চলতি অক্টোবরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ কমতে পারে। নভেম্বরে আরও হ্রাস পাবে বলে আমাদের আশঙ্কা।’