সারাদেশ |
স্টাফ করেসপনডেন্ট, নাটোর:
চিকিৎসা বা সার্জারি বিষয়ে কোনো ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও গত ৩২ বছর ধরে তিনি চিকিৎসা ও সার্জারি করে আসছিলেন। নামের পাশে লাগিয়েছিলেন ভারী ভারী সব ডিগ্রি। কিন্তু, পুলিশের এক অভিযানে বেরিয়ে এলো ৩২ বছরের প্রতারণার রহস্য।
সোমবার (২৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার জোনাইলে অবস্থিত জাহাঙ্গীর জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
নিজ নামে জাল সনদ তৈরী করে প্রতারণা করতেন। আব্দুল করিম লোহানী দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্ত্রোপচারসহ বিভিন্ন অপচিকিৎসা করে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। সোমবার একই হাসপাতালে তিনি এক গর্ভবতী মায়ের অস্ত্রোপচার করেছেন। ওই সময় তিনি নিজেই অ্যানেসথেশিয়া দিয়েছেন। এ ঘটনায় নবজাতকটি মারা যায়। রাতে ওই মায়ের আরেকটি অস্ত্রোপচার করতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে প্রতারণার মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে তিনি আদৌ সেরকম কোনো চিকিৎসক নন। এসএসসি পাশ করে বিডিআরের একজন সিপাহী হিসেবে যোগদান করেছিলেন লোহানী। পরে ওই চাকরি ভালো না লাগলে তা ছেড়ে তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। তারপর জাল সনদ তৈরি করে নিজেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে শুরু করেন প্রতারণা।
ভুয়া চিকিৎসক আব্দুল করিম লোহানীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ জাহাঙ্গীর জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকায় সোমবার রাতেই হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
/এসএইচ