কোচ ও অধিনায়কের সমর্থন পাননি লিটন

শেষ ১০ টি২০ ম্যাচে ১৩৮.৮২ স্ট্রাইক রেটে দলের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪৫ রান করেছেন লিটন– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ মূলধারার গণমাধ্যমেও লিটনের এই পরিসংখ্যান ঘোরাঘুরি করছে। এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও বলছেন– তিনি লিটনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন রান করে দলে ফিরতে হবে। যে কোনো সংস্করণে রান করলেই হবে। জাতীয় দলে ফেরার প্রক্রিয়া এ রকমই হওয়ার কথা। এ জন্য লিটনকে রান করার সুযোগ এবং সময় দিতে হবে। সেটা হতে পারে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভালো খেলা। 

প্রধান নির্বাচকের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল ঢাকা লিগ ম্যাচে তিন নম্বরে নেমে ১৯ বলে পাঁচ রান করেন। লিগ ম্যাচে রান করতে না পারা প্রমাণ করে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছেন লিটন। এ রকম পরিস্থিতিতে জাতীয় দল-সংশ্লিষ্টদের কথাবার্তা উইকেটরক্ষক এ ব্যাটারকে মানসিক চাপে ফেলে দেবে না তো? যদিও লিপু তা মনে করেন না। তাঁর যুক্তি হলো বাইরের কথাবার্তা মেনে নিয়েই একজন ক্রিকেটার জাতীয় দলে খেলেন।

প্রধান নির্বাচকের কাছে গতকাল জানতে চাওয়া হয়েছিল ওয়ানডের মতো টি২০ ক্রিকেট থেকেও লিটন বাদ কিনা। তিনি বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে লিটন ছন্দে নেই। ওয়ানডের চেয়ে টি২০তে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও রেকর্ড খুব ভালো না। শেষ সিরিজে শূন্য, ৩৬ ও ৭ রান করেছে। হ্যাঁ, আগে সে ভালো করেছে, কিন্তু সেগুলো আমলে নেওয়ার সুযোগ কম। আমরা চাই যে কোনো সংস্করণে রান করে জাতীয় দলে ফিরুক সে। টেস্ট সিরিজে খেলবে। ঢাকা লিগ এবং জিম্বাবুয়ে সিরিজ রয়েছে। নিঃসন্দেহে সে এ দুই জায়গায় ভালো করবে।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রান করতে না পারা লিটনের বাদ পড়ার একমাত্র কারণ নয় বলে জানা গেছে। ২৯ বছর বয়সী এ ব্যাটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি অনুশীলনে অমনোযোগী। যেটা ভালোভাবে নেননি কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের দল থেকে বাদ দেওয়ার সময় লিটনকে সমর্থনও করেননি তারা।

এ ব্যাপারে অবগত থাকলেও কিছু বলতে রাজি হননি লিপু। এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতে লিটনকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দিয়েও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট ও জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিটনকে রান করার পাশাপাশি জাতীয় দলের অনুশীলনেও একাগ্র হতে হবে।

samakal