মানবজমিন ডেস্ক
(১ ঘন্টা আগে) ১১ মে ২০২৫, রবিবার, ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাত্র ১৬ ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে একসাথে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে নয়াদিল্লি দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখে। তারা এ বিষয়ে কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরোধিতা করে। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়া হয়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে লিখেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী, বিচক্ষণ এবং সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করি। তারা বুঝতে পেরেছেন সময় এসেছে রক্তপাত ও ধ্বংস বন্ধ করার। লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাতে পারত। এই সাহসী পদক্ষেপ দুই দেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
তিনি আরও লিখেছেন, এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহায়তা করতে পেরে আমেরিকা গর্বিত। যদিও বিষয়টি আলোচনা হয়নি, তবুও আমি উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি কাশ্মীর ইস্যুতে সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করতে আগ্রহী।
এর আগে ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতে দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক ও পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারাও যুক্ত ছিলেন।
তিনি জানান, উভয় দেশ একটি নিরপেক্ষ স্থানে ব্যাপক আকারের আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি নিশ্চিত করেন যে, শনিবার বিকাল ৫টা থেকে ভূমি, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই দেশের ডিজিএমও-রা আবারও ১২ মে দুপুর ১২টায় আলোচনা করবেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি। উল্লেখ্য, ভারতের কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়াতেই আমেরিকার ভূমিকার উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে, পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। আমরা সব সময় আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে থেকেছি। তবে তা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার বিনিময়ে নয়।
ট্রাম্পের ‘নেতৃত্ব ও সক্রিয় ভূমিকার’ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং একে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি প্রতিষ্ঠার এক ‘নতুন সূচনা’ হিসেবে অভিহিত করেন।