বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সারা দেশে কারাগারগুলো বিএনপির নেতা-কর্মীতে ভরে যাচ্ছে। কারাগারে তাঁরা অসুস্থ হচ্ছেন এবং ধুঁকে ধুঁকে সেখানে মরছেন।
শুধু বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতা–কর্মীরা নন, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং প্রতিবাদমুখর লোকজনও সরকারের নির্যাতন-পীড়নের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এই নেতা। রিজভী বলেন, বিরোধী রাজনীতিবিদ ও সমালোচকদের সরকার গণদমন-পীড়নের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করে দিতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকও যদি প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী-এমপি বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন, তিনিও নিস্তার পান না।
‘বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে নির্বাচন অবৈধ হবে কেন, হাছান মাহমুদের এমন প্রশ্নের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি ছাড়াও অন্যান্য দল এবং বড় রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করবে, হাছান মাহমুদ সাহেব সেই নির্বাচন বৈধ হয় কী করে?’
ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জিতে আসার দিন শেষ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে তথাকথিত নির্বাচনের পাঁয়তারা চলছে, তা ভোটার ও জনগণের জন্য নয়। এটি সরকারের আরেকটি কদর্য রাজ্যাভিষেকের উৎসব হতে চলেছে।
সরকার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা এবং বিএনপি জোটের কয়েকটি দলকে ‘প্রহসনমূলক’ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রলুব্ধ করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ২১৫ জনের বেশি নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সময়ে সাতটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৮৭৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সারা দেশে মানববন্ধন হবে। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১১টায় এ মানববন্ধন হবে। সেদিন গুম ও খুনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা সদরে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
প্রথম আলো