কবর সংরক্ষণ নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়ানো হয়েছে : মেয়র আতিক

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫৪
উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থান উদ্বোধনকালে মেয়ের আতিক ও অন্যান্যরা – ছবি : সংগৃহীত

কবর দেয়ার জন্য নয় বরং কবর সংরক্ষণ নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন কবরাস্থানে কবর দেয়ার ফি বাড়ানো হয়নি। বরং কবর সংরক্ষণের জন্য ফি বাড়ানো হয়েছে। কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতেই মূলত সংরক্ষণ ফি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিপুল সংখ্যক আবেদন আসে কবর সংরক্ষণের জন্য। এভাবে কবর সংরক্ষণ করা হলে কবর দেয়ার জায়গা কমে যাবে। আশা করছি ফি বৃদ্ধির কারণে কবর সংরক্ষণের আবেদন অনেক কমবে এবং সাধারণ মানুষ কবর দেয়ার সুযোগ পাবে।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থান উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। কবরস্থানে জনগণ সীমিত ফিতে দাফনের সুযোগ পাচ্ছেন উল্লেখ করে মেয়র আতিক আরো বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন কবরস্থানে প্রতিটি লাশ দাফন বাবদ রেজিস্ট্রেশন ফি মাত্র ৫০০ টাকা এবং দুস্থ, অসহায় ও বিত্তহীন মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ফি মাত্র ১০০ (একশত) টাকা। এছাড়া কেউ যদি একশো টাকাও পরিশোধ করতে অপারগ হয় তার জন্য বিনামূল্যে দাফনের সুযোগ রয়েছে।

এ সময় তিনি বলেন, কবরস্থানসহ অন্যান্য স্থাপনা মেইনটেন্সের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকে, কমিউনিটিকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকাবাসী ও সোসাইটির নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশনের স্থাপনা, ফুটপাত, মাঠ, পার্কগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। নির্মাণকাজের জন্য গাছ কাটা যাবে না। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি গাছ না কেটে কাজ সম্পন্ন করতে। আমরা সাধারণত একটি গাছ কেটে ৩টি গাছ লাগানোর কথা বলি। কিন্তু এখন বলছি গাছ না কেটেই ৩টি গাছ লাগাবেন।

মেয়র আরো বলেন, মহামারী করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যখন পুরো বিশ্ব বিপর্যস্ত তখনো আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সীমিত সম্পদের মধ্যে সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১৮টি নতুন ওয়ার্ডেও আমরা উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। নতুন এলাকায় সবকিছু মাস্টারপ্লান করে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছি। অনেক বড় প্রকল্প তাই একটু সময় লাগছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সময় নিয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আমিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জুলকার নাইন, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: আফছার উদ্দিন খান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী, স্থপতি ইকবাল হাবিব, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান প্রমুখ।