Prothom Alo
লেগ সাইডে ফুলটস দিয়েছিলেন চামিরা। বাটলার ফ্লিক করে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে তা বাউন্ডারি ছাড়া করলেন। চমৎকার এক টি-টোয়েন্টি ইনিংসই উপহার দিলেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
ইংল্যান্ডের হয়ে তিন সংস্করণেই সেঞ্চুরি পাওয়া একমাত্র ব্যাটসম্যানও তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সেঞ্চুরি পাওয়া দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সেঞ্চুরি করেছিলেন অ্যালেক্স হেলস।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরির আপেক্ষায় অনেক দিন ধরেই ছিলেন বাটলার। তবে শ্রীলঙ্কা তাঁর প্রিয় প্রতিপক্ষই। এর আগে ২০১৬ সালেও লঙ্কানদের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
এ বছরই ভারতের বিপক্ষে ৮৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস। এর আগে ২০২০ সালেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন আরও একটি অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস।
বাটলারের ইনিংস আসলে আজ ইংল্যান্ডকে বড় বিপর্যয়ের হাত থেকেই রক্ষা করেছে। এর আগে উড়তে থাকা ইংলিশরা আজ শারজায় শ্রীলঙ্কান বোলিংয়ের সামনে পরীক্ষাই দিয়েছে। পাওয়ার প্লেতে রান আসেনি। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল রীতিমতো ধুঁকছিলই।
এক প্রান্ত আগলে ধরে বাটলার খেললেন ৬৭ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ছয়টি করে বাউন্ডারি আর ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে।
বাটলারের ইনিংসটিকে ‘বিশেষ’ বলেছেন ইংল্যান্ডের ফিল্ডিং কোচ পল কলিংউড। বিপদের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখে, প্রতি আক্রমণে গড়া ইনিংসটির একরাশ প্রশংসাই ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘বিশেষ একটা টি-টোয়েন্টি ইনিংসই দেখলাম আজ বাটলারের কাছ থেকে। দল বিপদে ছিল, উইকেট ধীরগতির ও কঠিন। এর মধ্যেই দারুণ এই ইনিংস বাটলারের। যে উইকেটে ক্রস ব্যাটে শট খেলা যাচ্ছিল না, সেখানে বাটলারের ইনিংসটি দুর্দান্তই।’