- তাইফুর রহমান, আশুগঞ্জ
- ১৪ অক্টোবর ২০২০
দশ বছর আগেও বাড়িটিতে ছিল টিনশেড ঘর। এখন সেই জায়গায় গড়ে উঠেছে রাজকীয় প্রাসাদ। শুধু তাই নয়, আছে কয়েক বিঘা জমিও।
কনস্টেবল পদে চাকরি শুরু করে এত অল্প সময়ে কিভাবে ওই বাড়ি তৈরি করলেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অবশ্য ২০০৭ সালে চাকরি শুরু করে ২০১৪ সালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হয়েছেন তিনি। মূলত পদন্নতি পেয়েই আলাদীনের প্রদীপের মতো ভাগ্য বদলাতে থাকে আকবর হোসেন ভূঁইয়ার। তার বাবাও ছিলেন ধর্ষণ মামলার আসামি। স্থানীয় রাজনীতি যুক্ত থাকায় সেই মামলা খুব বেশি এগোয়নি। তার বাড়ির আশপাশের লোকজন জানান, ক্ষমতাসীন দলের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক থাকায় সহজেই টাকার বিনিময়ে চাকুরি পেয়েছিলেন তিনি।
পাঁচ ভাই- বোনের মধ্যে দ্বিতীয় আকবর। পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর নিজ গ্রামে বাড়ি ও জায়গা-জমিসহ অঢেল সম্পদ গড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুরোনো ঘর ভেঙে নির্মাণ করা হয়েছে আলিশান বাড়ি।
প্রথম তলার কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। পাশপাশি বাড়ি সামনে নির্মাণ করছেন আধুনিক গেইট। যার নির্মাণ কাজ চলছে এখনো।
তবে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় এখন নিজ গ্রামেও সমালোচিত হচ্ছেন আকবর।
কীভাবে আলিশান বাড়িসহ এত সম্পদের মালিক হয়েছেন সেই আলোচনা এখন গ্রামের সবার মুখে। অনেকে পুলিশ কর্মকর্তা আকবর ও তার পরিবারের অঢেল সম্পদের উৎস অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার বগৈর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পুলিশে চাকরি হওয়ার পরই অবৈধভাবে টাকা উপার্জন করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন আকবর। তিনি যে ঘটনা ঘটিয়েছেন সেটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং আশুগঞ্জের মানুষের জন্য কলঙ্ক। তাই আশুগঞ্জকে কলঙ্কমুক্ত করার জন্য বন্দরবাজার ফাঁড়ির ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করে আকবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
তবে পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভাই ফেইসবুক স্ট্যটাসের মাধ্যমে জানান, তার ভাই এস আই আকবর এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে না।
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি বলেন, আকবর যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তা পুরো আশুগঞ্জের জন্য লজ্জার। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আকবর দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানাই।
আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মারুফ আহমেদ রনি বলেন, বিষয়টি আশুগঞ্জের জন্য লজ্জাজনক ও নিন্দনীয় কাজ। পাশপাশি পুলিশ কর্মকর্তা আকবর হোসেন ভূইঁয়া যদি দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি তার বিচার দাবি করেন। আশুগঞ্জ উপজেলার যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন বলেন, আমরা অপরাধীর বিচার চাই, সে যেই হোক না কেনো।