এবার রাশিয়ার ওপর নতুন করে কয়েক ধরনের সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। নতুন এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ব্রিটিশ কোনো প্রতিষ্ঠান এখন থেকে রাশিয়াকে ব্যবস্থাপনা পরামর্শ সেবা, নিরীক্ষা সেবা ও জনসংযোগ পরিষেবা দিতে পারবে না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রসচিব লিজ ট্রাস জানিয়েছেন, নতুন এ নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি এ–ও বলেছেন, এ নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে পুতিনকে ব্যর্থ হতে সহায়তা করবে। খবর বিবিসির
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে রাশিয়ার ওপর প্রবর্তিত ৬৩টি নিষেধাজ্ঞার বেশির ভাগই রাশিয়ার মিডিয়া ও সেখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের উদ্দেশে করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা পরামর্শ ও জনসংযোগ সেবায় রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার ফলে তা রাশিয়ার ওপর নতুন করে চাপ তৈরি করবে বলে মনে করছে যুক্তরাজ্য সরকার। ব্রিটিশ বাণিজ্যসচিব কোয়াসি কোয়ার্টেংকে উদ্ধৃত করে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পেশাদার পরিষেবা বিশ্বের অনেক দেশের কাছে খুবই মূল্যবান। আর এ কারণেই এ ধরনের সেবা থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন সংবাদমাধ্যম আরটি ও স্পুতনিকের সংবাদ বা বিষয়বস্তু ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্লক করতে এখন আইন কার্যকর করার সময় এসেছে বলে ব্রিটিশ সরকারের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ব্রিটিশ প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস ফিলপ বলেন, ‘এরই মধ্যে আরটি ও স্পুতনিককে ব্রিটিশ বিমান পরিবহন সংস্থা বা ব্রিটিশ বিমানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন আমরা এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাউকে ব্যবসা না করতে বলেছি।’
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকার দেশটির ১ হাজার ৬০০ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞার আওতা তত বাড়ছে।