এবারো হচ্ছে না জাতীয় ঈদগাহে, বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৬টি জামাত

বায়তুল মোকাররমে ঈদের নামাজের ছয়টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। – ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে জাতীয় ঈদগাহে এবারো পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজের ছয়টি জামাত পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আগামী শনিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত এসব জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার পাওয়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ বছর জাতীয় মসজিদে ঈদের দিনে ছয়টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রেখে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।’

প্রথম ঈদের জামায়াতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান।

প্রথম জামায়াতের পরে দ্বিতীয়টি সকাল ৭টা ৫০মিনিটে, পরের চারটি জামায়াত যথাক্রমে সকাল ৮টা ৪৫, ৯টা ৩৫, সাড়ে ১০টা এবং বেলা ১১টা ১০মিনিটে সর্বশেষ জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার সরকার বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত প্রেক্ষাপটে ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াতও খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লীগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লীকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো ধরণের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করা যাবে না।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ কল্পে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য ইমাম ও মসজিদগুলোর পরিচালনা কমিটিকে আহ্বান জানানো হয়েছে।