
এনসিএল টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়ানোর এখনো মাসখানেক বাকি, তবে এর মধ্যেই সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করছে ক্রিকেট বোর্ড। ইতোমধ্যে নিয়োগ দিয়েছে অংশ নেয়া আট দলের প্রধান কোচ।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সাতটি বিভাগের সাথে ঢাকা মেট্রো দল নিয়েই এবারের আসর। বিভাগগুলোর মাঝে নেই কেবল ময়মনসিংহ।
এবারের আসরে পুরো টুর্নামেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন অভিজ্ঞ-নবীনসহ দেশীয় কোচরা। কাজ করবেন তুষার ইমরান, আশরাফুলদের মতো নতুন ও মিজানুর রহমান, রাজিন সালেহদের মতো অভিজ্ঞরা।
মুলত বিপিএলের আগে নিজেদের প্রমাণ করার মঞ্চ হিসেবেই দেখা হচ্ছে এনসিএল টি-টোয়েন্টিকে। তিনটা ভেন্যুতে আটটি দলে হবে এবারের খেলা। প্রতিটি দলে আছে ৩০ জন করে খেলোয়াড়। এবারের আসরে ঢাকা বিভাগীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অভিজ্ঞ মিজানুর রহমান বাবুল। যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এ দলের কোচ হিসেবে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া সফরে আছেন। বাবুল বিপিএলে ফরচুন বরিশালের কোচ হয়ে ২০২৪ ও ২০২৫ মৌসুমে দলকে শিরোপা জেতান।
অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোর দায়িত্বে থাকবেন সাবেক পেসার নাজমুল হোসেন।
খুলনা বিভাগের দায়িত্বে আছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল ব্যাটার তুষার ইমরান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১ হাজারের বেশি রান করা তুষার অবসরের পর বিভিন্ন ক্লাব ও বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কোচিং করাচ্ছেন।
রংপুরের দায়িত্বে আছেন সাইফুল ইসলাম খান, তিনিও স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে কোচিং করিয়ে আসছেন। রাজশাহী বিভাগীয় দল সামলাবেন আব্দুল করিম জুয়েল।
বরিশালের কোচ হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। আশরাফুল কোচিং পেশায় অনেক আগেই নাম লিখিয়েছেন। গেল বিপিএলে সফলভাবে কাজও করেছেন। এবার ঘরোয়া টুর্নামেন্টে প্রধান কোচ হিসেবে দেখা যাবে তাকে।
চট্টগ্রামের দায়িত্বে আছেন মাহবুব আলী জ্যাকি, দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্থানীয় পর্যায়ে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করে আসছেন এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড় গড়ে তুলতে অবদান রেখেছেন।
আর সিলেটের কোচ রাজিন সালেহ। সাবেক এই ক্রিকেটার তো পরিচিত মুখ, বয়সভিত্তিক দল গঠন ও খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে তার বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে। কোচিং করিয়েছেন বিপিএলেও।