এডিটার’স মেইলবক্স: চকবাজার অগ্নিকাণ্ড: প্রাণহানির দায়ভার কার? শামীমা বেগম নাগরিকত্ব বিতর্ক
বাংলাদেশে পুরনো ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে এ সপ্তাহে লিখেছেন অনেকে।
নিমতলী ট্র্যাজেডির নয় বছর পর চকবাজারে একইধরনের অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৭৮ জনের প্রাণহানির দায়ভার কে নেবে – এ প্রশ্ন করেছেন ঘোড়াদাইড়, গোপালগঞ্জ থেকে ফয়সাল আহমেদ সিপন।
“নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে আমরা শিক্ষা নেইনি, সতর্ক হইনি বলেই চকবাজারে আবারও প্রাণ দিতে হলো অনেক নিরীহ মানুষকে। এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কিভাবে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের মজুদ থাকে? ২০১০ এ নিমতলীর ঘটনার পর সরকারের নির্দেশ ছিল পুরান ঢাকার এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে এগুলি সরিয়ে নেওয়ার, কিন্তু সরে তো যায়নি৷ উল্টো আরো বেড়েছে! এতগুলো মানুষের যে প্রাণ গেল তার দায়ভার কে নেবে?”
এই দায়ভার প্রশ্নে মতামত দিয়েছেন পার্বতীপুর, দিনাজপুরের মেনহাজুল ইসলাম তারেক।
“দেশের কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও কেউ কি বলতে পারেন একটারও কি সুষ্ঠু তদন্ত হয়েছে? কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে? কিছুই করা হয়নি! আর এসব অবহেলার কারণেই দিন দিন এসব ঘটনা বেড়েই চলেছে। তবে, এ ব্যাপারে সরকারের উপর সকল দোষ চাপিয়ে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেও চলবে না। কেননা সকল কাজ তো শুধু সরকার করবে না। আমরা সাধারণ জনগণ শুধু নিয়ম ভঙ্গ করবো- অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা রাখবো না, ভবন তৈরির সময় এক ফুট জায়গাও ছাড়বো না, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার জায়গাও রাখবো না, কেমিক্যাল নীতিমালা মানবো না আর সব দোষ সরকারের উপর চাপাবো, সেটা হয় কি করে?”
আপনারা জানেন নিমতলীর আগুনের পর পুরনো ঢাকায় ৮০০’র বেশি অবৈধ রাসায়নিক গুদাম এবং কারখানা চিহ্নিত করে সেগুলো কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের পর বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে স্বীকার করেছেন সেসময়কার শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।
অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনও বিবিসি বাংলাকে বলছেন, পুরনো ঢাকা থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিকের গুদাম এবং কারখানা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে তারা বার বার উদ্যোগ নিলেও মূলত ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চাপের কাছে তাদের নতিস্বীকার করতে হয়েছে। তবে মি: ইসলাম আপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। সরকারকে অবশ্যই এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, কিন্তু সাধারণ মানুষেরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে। চিঠি লেখার জন্য আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ।
(বিবিসি রিপোর্ট- পুরনো ঢাকায় বারবার কেন এই ট্র্যাজেডি- পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।)
চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড কীভাবে শুরু তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবরে বিভ্রান্ত কপিলমুনি খুলনার মো:শিমুল বিল্লাল বাপ্পী।
“পুরানো ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কয়েকবছর পর পর ফিরে আসছে। কেউ বলছে অপরিকল্পিত নগরায়ন, কেউ বলছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত ব্যবসায়ী দৃষ্টীভঙ্গী এর কারণ। খবর থেকে জানা যাচ্ছে ঘিঞ্জি এলাকা আর সরু রাস্তা ঘাটের জন্য উদ্ধার কাজ অনেকটা বাধা গ্রস্ত হয়েছে । কেউ বলছে অগ্নিকাণ্ডের জন্য রাসয়নিক দ্রব্যের কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না । কেউ কেউ বলছে রাসয়নিক দ্রব্য মজুদ পুরানো ঢাকায় নিষিদ্ধ। কিন্তু খবর থেকে জেনেছি গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণ এবং কাকতালীয়ভাবে বিদ্যুত ট্র্যান্সমিটার বিস্ফোরিত হয়ে তার উপর পড়লে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ অনুসন্ধানে বের হয়ে আসবে সেটাই দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে।”
লালমোহন ভোলার মো: জিল্লুর রহমান প্রশ্ন তুলেছেন:
“২০১০ সালের অগ্নিকাণ্ডের পর যেখানে পুরান ঢাকার রাসায়নিক কেমিক্যালের ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেখানে প্রশাসনের নাকের ডগায় ও ছত্রছায়ায় কীভাবে এ ব্যবসা বছরের পর বছর চালানো সম্ভব হয় ও এর গোডাউন রক্ষিত হয়, তা একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমার মতো অনেকের কাছে বোধগম্য নয়। এসব কেমিক্যাল খুবই দাহ্য এবং ট্রান্সফরমারের মতো একটি ছোট ঘটনাই যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ হতে পারে, চকবাজারের ঘটনাই এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।”
শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি শুক্রবার বলেছে যে ভবনে আগুন লেগেছিল তার আশেপাশে কেমিকেলের কোন কারখানা বা গোডাউন ছিল না। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ভবনটিতে রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণে আগুন এতোটা ভয়াবহ হয়েছে।
ভবন পরিদর্শনের পর শুক্রবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল জুলফিকার রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, যে লাইটার রিফিল করার ক্যানগুলো সেখানে ছিল এবং রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণে আগুন বেশ দ্রুত ছড়িয়েছে। আর আগুনের তীব্রতাও সে কারণে ছিল বেশি। এখন আগুন কীভাবে লেগেছে এবং ছড়িয়েছে সে বিষয়ে তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে কী থাকে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
(বিবিসি বাংলার রিপোর্ট -চকবাজার: আগুনের কারণ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় নানামুখী ভাষ্য- পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।)
চকবাজারের আগুন নিয়ে আরো লিখেছেন কুমিল্লা সদর থেকে সৈয়দ নাজমুলহুদা মামুন, গোপালগঞ্জ, ঘোড়াদাইড় থেকে ফয়সাল আহমেদ সিপন, সৈয়দপুর, নীলফামারী থেকে মো: মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
ব্রিটেনের জিহাদী বধূ শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানো প্রসঙ্গে লালমোহন ভোলা থেকে লিখেছেন মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।
“শামীমা বেগম যখন আইএস-এ যোগ দেয় তখন তার বয়স ছিল ১৫ অর্থাৎ সে কিশোরী। সে হিসাবে তাকে সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো যায় আর যদি তার বর্তমান বয়স ১৯ ধরে বিবেচনা করা হয়, তবে আইএস-এর প্রতি আনুগত্যের জন্য ব্রিটিশ আইনে তার উপযুক্ত বিচার করা যেতে পারে। এসব বিকল্প বিবেচনা না করে কেন ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিলের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে গেল? বাংলাদেশ সরকার যদি তাকে নাগরিক হিসাবে গ্রহণ না করে তখন তার কী হবে? সে কি কূটনীতির মারপ্যাচে পড়ে রাষ্ট্রবিহীন অবস্থার মধ্যে পতিত হবে? তার বাচ্চারই বা নাগরিকত্ব কীভাবে নির্ধারিত হবে?”
এই বিষয়টা নিয়েই বর্তমানে ব্রিটেনে তুমুল বিতর্ক চলছে মি: রহমান। ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হলেও তিনি রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত হবেন না। কারণ তাদের যুক্তি শামীমার মা একজন বাংলাদেশী নাগরিক, তাই মায়ের উত্তরাধিকার সূত্রে শামীমাও নাগরিকত্ব দাবি করার অধিকার রাখেন। কিন্তু বির্তকের বিষয়টা হল শামীমা বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত হলেও তিনি বলছেন তিনি জীবনে কখনো বাংলাদেশে যাননি এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্বও কখনও দাবি করেননি। তিনি ব্রিটিশ। অনেকেই মনে করছেন তার ব্রিটেনে ফিরে আসার অধিকার রয়েছে। আর তার বাচ্চার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এই সিদ্ধান্ত তার সন্তানের নাগরিকত্বের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না। আপনাকে ধন্যবাদ।
(শামীমার নাগরিকত্ব নিয়ে আইন কী বলছে? – প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।)
দক্ষিণ পানাপুকুর, রংপুর থেকে দেব প্রসাদ রায়ের একটি অভিযোগ বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে।
“বিবিসি নিউজ বাংলা গত কয়েক সপ্তাহ থেকে শ্রোতা-পাঠকদের চিঠিপত্রের ও মতামতের জবাব সঠিক সময়ে দিচ্ছে না। কি কারণে এরকম হেরফের হচ্ছে বুঝতে পারছি না। নাকি চিঠিপত্র বলে এর গুরুত্ব কম!আশা করি বিবিসি নিউজ বাংলা নির্দিষ্ট দিনে এবং সঠিক সময়ে চিঠিপত্রের জবাব দেয়ার বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবে।”
মি: রায় -আপনি কি বেতারে চিঠিপত্রের জবাবের অনুষ্ঠান প্রীতিভাজনেষুর কথা বলছেন? কারণ গত কয়েক সপ্তাহ প্রীতিভাজনেষুর বেতার অনুষ্ঠান প্রচারে তো কোন বিঘ্ন ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। দুই পর্বে চিঠিপত্রের অনুষ্ঠান তো যথানিয়মে প্রচারিত হয়েছে শনি ও রবিবার সকালের প্রত্যুষা অনুষ্ঠানে। তবে হ্যাঁ, অনলাইনে চিঠিপত্রের আয়োজন “এডিটারস্ মেলবক্স” গত সপ্তাহে দিন কয়েক দেরি করে ছাপানো হয়েছে। সেজন্য আমরা দু:খিত। তবে চিঠিপত্রের অনুষ্ঠান বলে যে সেটা অবহেলার কারণে করা হয়েছে তা নয়। আপনাকে ধন্যবাদ।
এডিটারস্ মেইলবক্স নিয়ে লিখেছেন ধানমণ্ডি, ঢাকা থেকে শামীম উদ্দিন শ্যামল।
“এ সপ্তাহের ‘প্রীতিভাজনেষুতে’ আমার মেইল ছিলো না। তবুও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম কখন ওয়েব সাইটে আসবে। আজই আসলো তিনদিন পর। তবুও খুশি যে অন্তত সপ্তাহের ভেতরে আসতে পেরেছে। যদিও রেডিওতে ঠিক সময়েই প্রচার হয়েছে এবং বন্ধুদের মতামত আর আপনাদের উত্তর শুনে ভাল লেগেছে। আসল কথায় আসি। বিবিসি বাংলার দু’জন নিয়মিত মেইল প্রেরকের মতামতের জবাব দিতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে “বাংলাদেশের এফএম রেডিওতে সংবাদের প্রতি অনাগ্রহ কেন? রিপোর্টটি শুনতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।” সেই লেখায় ক্লিক করেও রিপোর্টটি শুনতে পেলাম না। অর্থাৎ শোনার কোনো অপশনই নেই, পড়ার অপশন আছে। তাহলে “শুনতে চাইলে” কথাটি না লিখে “পড়তে চাইলে” কথাটি লিখলে ভাল হতো না?”
আপনি ঠিকই লিখেছেন ওখানে “পড়তে চাইলে”ই লেখা উচিত ছিল। অনবধানতাবশত “শুনতে চাইলে” লেখা হয়েছে। সেজন্য আন্তরিকভাবে দু:খিত। গত সপ্তাহে লোকবলের কিছু অভাব থাকায় অনলাইনে আপনাদের চিঠিগুলো তুলতে আমাদের দেরি হয়েছে। সেজন্য দু:খপ্রকাশ করছি।
ওই পাতায় এফ এম রেডিওতে সংবাদ শোনায় শ্রোতাদের অনাগ্রহ প্রসঙ্গে ইমরান খান ও সৌদি যুবরাজের বৈঠকের ছবিটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে আপনি লিখেছেন। ওই ছবিটি ছিল হার্ড নিউজের একটি প্রতীকী ছবি এবং ছবির নিচে ক্যাপশান ছিল এফএম শ্রোতারা হার্ড নিউজ পছন্দ করেন না। ছবিটা বিষয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ আপনার কেন মনে হয়েছে জানিনা। চিঠি লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইমেলে আরিফুল ইসলাম লিখেছেন গত ৮ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে। আপনি পুরো ঠিকানা লেখেননি।
“প্রতিবেদনটি ওয়েব সাইটে পড়ে জানতে পারলাম, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সুচনালগ্ন ছিল ১৯৭৮ সালে একটি ক্ষুদ্র পাঠচক্র হিসাবে। যার সদস্য ছিলেন মাত্র ১৫ জন। সেই পাঠচক্রে ঠিক হয় যে প্রতি সপ্তাহে তারা প্রত্যেকে একটি নির্ধারিত বই বাড়িতে নিয়ে পড়বেন এবং পরের সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে সেখানে এসে ঐ বই নিয়ে আলোচনা করবেন। এই অংশটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। কিন্তু বর্তমান যুগে সামাজিক মাধ্যমের কারণে আগের মতো বই পড়া নিয়ে আলোচনা হয় না। আমাদের জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়ে বন্ধুদের মাঝে আলোচনা করাটা কি গুরুত্বপূর্ণ না?”
মি: ইসলাম আজকের দুনিয়ায় জ্ঞান অর্জনের একমাত্র পথ বই পড়া নয়। ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও এখন জ্ঞান অর্জনের প্রচুর সুযোগ আছে। বই পড়তে যারা ভালবাসেন তারা কিন্তু বই পড়া থামাননি। বই নিয়ে আলোচনাও যে একেবারে হয় না তা নয়। কিন্তু অনেকে আরো বিস্তৃত পরিসরে আলোচনার জন্য এখন সামাজিক মাধ্যমকে বেছে নিচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমে কোনো বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য অনেকে বন্ধুদের বিস্তৃত পরিমণ্ডল তৈরি করছেন নানাধরনের গ্রুপ বা ফোরাম খুলে। সেগুলোও মত বা তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
(বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র: যেভাবে ৪০ বছর আগে শুরু হয়েছিল এর পথচলা প্রতিবেদনটি পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।)
খুলনায় এফ এম সম্প্রচারের সমস্যা নিয়ে খুলনার দাকোপ থেকে লিখেছেন মুকুল সরদার।
“খুলনা বেতারের এফএম মাঝেমধ্যেই বেশ বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। ১৫ তারিখের প্রত্যুষার প্রথম দিকের মিনিট পাঁচেক বিবিসি বাংলাকে শোনা গেলেও অধিবেশনের বাকিটা সময় শোনা গেছে বিবিসির ইংলিশ সার্ভিসের অনুষ্ঠান আর প্রবাহতে বাংলা সার্ভিসকে শোনাই যায়নি, সম্পূর্ণটাই ছিল ইংলিশ সার্ভিসের দখলে। ১৬ তারিখের প্রত্যুষা এবং প্রবাহের প্রথম দিকের কয়েক মিনিট মাত্র বিবিসি বাংলাকে শুনেছি এবং বাকিটা সময় ইংলিশ সার্ভিসের অনুষ্ঠান।”
একইধরনের অভিযোগ পাঠিয়েছেন খুলনার কয়রা থেকে সুরঞ্জন মিত্র।
“৮৮.৮ এফএম-এ ২৫শে ফেব্রুয়ারি ১০ মিনিট বাংলা অনুষ্ঠান প্রত্যুষা আর ২০ মিনিট ইংরেজি অনুষ্ঠান শুনতে পেয়েছি। ঐ দিন প্রবাহ অনুষ্ঠানেও একই অবস্থা। ১৬তারিখ প্রত্যুষায় ১৩ মিনিট বাংলা অনুষ্ঠান শোনার পর বাকী ১৭ মিনিট ইংরেজি অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয়েছে। কেন জানাবেন।”
অবশ্যই কোন সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঢাকায় অডিয়েন্স টিমের সঙ্গে কথা বলে জানলাম একইধরনের সমস্যা চট্টগ্রাম এবং কুমিল্লাতেও হয়েছে এবং বাংলাদেশ বেতার ও বিবিসির এনজিনিয়াররা মিলে সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন। খুলনার সমস্যার কথাও এখন তাদের নজরে আনা হয়েছে। আশা করি তারা দ্রুত সমস্যাটা চিহ্ণিত করে তা সমাধান করতে পারবেন। বিষয়টা আমাদের নজরে আনার জন্য আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ।
শংকরপুর তেলীপাড়া, দিনাজপুর থেকে কামরুজ্জামান সরকার জানতে চেয়েছেন:
“বিবিসি বাংলা কেন প্রতুষ্যায় ফেসবুক লাইভ করছে না? নাকি তাদের এখনো স্টুডিও তৈরির কাজ শেষ হয়নি।”
স্টুডিও তৈরির কাজ এখন শেষের পর্যায়ে। ফেসবুক লাইভ করতে গেলে যেধরনের প্রযুক্তি দরকার তা আমাদের পুরনো স্টুডিওতে না থাকায় প্রত্যুষার ফেসবুক লাইভ করা এ যাবত সম্ভব হয় নি। চিঠি লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দেবানন্দ বিশ্বাস পুরো ঠিকানা দেন নি -ইমেলে লিখেছেন:
“কানে বাজলো তাই লিখলাম। মানসী বড়ুয়ার কণ্ঠে উচ্চারিত হল “ইতিমধ্যে “। আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। একটি প্রতিবেদনও শুনলাম বানান বা নতুন শব্দের উপরে। তাই আমার প্রশ্ন- কথাটা কি “ইতিমধ্যে” না “ইতোমধ্যে”?”
বাংলা অ্যাকাডেমির অভিধানে দুটো শব্দই সঠিক বলে উল্লেখ করা আছে মি: বিশ্বাস। ধন্যবাদ আপনাকে।
এবারে কিছু চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার:
মোহম্মদ জয়নাল আবেদিন, নারায়ণগঞ্জ।
শাকিল হোসেন, খাগড়াছড়ি।
মোঃ আব্দুল মাতিন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ।
নাজমুল ইসলাম, গাজীপুর।
তানাকা রহমান, গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
মোঃ নুর আলম ছিদ্দিক, রামচন্দ্রপুর গরদিঘী, গাইবান্ধা।
গোলাম রব্বানী, সাভার, ঢাকা।
শাহিন তালুকদার, মৌকরন,পটুয়াখালী।
এমদাদুল হক বাদশা,দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা ।
বিলকিছ আক্তার, সরকারি ম্যাটস, টাঙ্গাইল।
বিবিসি বাংলার খবর নিয়ে আপনাদের মতামত, প্রতিক্রিয়া, অভিযোগ কিংবা পরামর্শ থাকলে আমাদের কাছে লিখতে পারেন:
ইমেইল ঠিকানা: [email protected]
ফেসবুক পেজ: www.facebook.com/BBCBengaliService/