খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করেছে। টাকা পাচার ও দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের কিনারায় চলে গেছে। দেশকে দেউলিয়া করে ফেলছে। দ্রব্যমূল্যের দাম লাগামহীন। আওয়ামী লীগের লোকজন সিন্ডিকেট করছে। খেটে খাওয়া মানুষের হাঁড়িতে খাবার নেই।’
আওয়ামী লীগকে ‘গণতন্ত্রের হত্যাকারী’ আখ্যায়িত করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে—সেই একদলীয় বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে যার শুরু। এই আওয়ামী লীগের পক্ষে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, এই সরকারের হাত রক্তে রঞ্জিত। যে সরকারের হাতই রক্তে রঞ্জিত হয়েছে, তার পতন অবশ্যম্ভাবী। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আরও তাজা রক্ত ঢেলে দেব। গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় জনসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের, সাবেক সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক প্রমুখ।