দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের কামারপাড়া মোড় ও বালুর মাঠ মোড় এলাকায় লাঠি নিয়ে অবস্থান করছেন কয়েকজন। তাঁরা বিএনপির নেতা–কর্মীদের গাড়ি আটকে দিচ্ছেন। গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য দিকে পাঠাচ্ছেন। বিএনপির মিছিলে লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিতেও দেখা গেছে।
বিএনপির নেতা–কর্মীরা বলছেন, স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তাঁদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন।
একটি অটোরিকশায় করে সমাবেশের দিকে যাচ্ছিলেন কাউসার, রাকিব ও হামিদ নামের তিনজন। তাঁরা এসেছেন উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে। বালুর মাঠ মোড়ে তাঁদের অটোরিকশাটি আটকান কয়েকজন। তাঁদের মারধর করে সেখান থেকে চলে যেতে বলা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে গিয়ে কথা হয় ওই তিনজনের সঙ্গে। তাঁরা নিজেদের ৫২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী বলে পরিচয় দেন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা করিনি। স্বাভাবিকভাবেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু এর মাঝেই পথ আটকে আমাদের মারধর করতে থাকে।’ কাউসার বলেন, ‘আমার গালে ইচ্ছেমতো থাপড়াইছে। এখন কানে ঠিকমতো শুনতে পাচ্ছি না।’
যাঁরা মারধর করছিলেন, তাঁদের কেউই এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘বিএনপির লোকজন যেন ঠিকমতো সমাবেশে না যেতে পারে, সে জন্য আমাদের সড়কে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা একটু ভয় দেখাচ্ছি।’
সমাবেশস্থলে দায়িত্ব পালনরত তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেছেন, তাঁরা বিএনপির নেতা–কর্মীদের মারধরের কোনো অভিযোগ পাননি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত আছে।