ইস্তাম্বুল বৈঠকের পর পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত চালু

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান কয়েক সপ্তাহের অচলাবস্থার পর তাদের দুটি প্রধান সীমান্ত ক্রসিং সাধারণ মানুষের জন্য পুনরায় খুলে দিয়েছে। তুরস্কের মহানগরী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত এক সফল আলোচনার পর শনিবার সীমান্তগুলো খুলে দেওয়া হয়।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পতাকা

গত ১২ অক্টোবর দেশ দুটির মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের জেরে সব ধরনের চলাচলের জন্য সীমান্ত দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুনরায় খুলে দেওয়া সীমান্ত দুটি হলো—পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশকে সংযোগকারী তোরখাম ক্রসিং এবং পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশকে সংযোগকারী চমন সীমান্ত। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে মোট ১৮টি সীমান্ত ক্রসিং থাকলেও বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য তোরখাম এবং চমনই প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তোরখাম সীমান্তের একজন পাকিস্তানি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ‘সীমান্তটি আজ আফগানিস্তানে ভ্রমণকারী পরিবারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে, তবে এটি বাণিজ্যের জন্য বন্ধ থাকবে’। তবে তিনি আরও যোগ করেন, সোমবার থেকে বাণিজ্যের জন্যও সীমান্ত খুলে দেওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি চমন সীমান্তও খুলে দিয়েছে পাকিস্তান।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার অতিরিক্ত নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ উত্তেজনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানি ও আফগান প্রতিনিধিদল আগামী ৬ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে আবারও বৈঠকে বসবে। এর আগে গত মাসে দোহায় প্রথম দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা পরে তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে স্থানান্তরিত হয়। ইসলামাবাদ ও কাবুল উভয়ই এই সংলাপ আয়োজনের জন্য দেশ দুটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

এদিকে, ইসলামাবাদভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’-এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবরে পাকিস্তানে জঙ্গিরা কয়েক দশকের মধ্যে এক মাসে সর্বোচ্চ হতাহতের শিকার হয়েছে। গত মাসে বিভিন্ন অভিযানে মোট ৩৫৫ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অক্টোবরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪৫৮ জনের মধ্যে ৭২ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here