ইসি আইন আ.লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশা: বিএনপির স্থায়ী কমিটি

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে কোনো নির্বাচন কমিশনই অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সফল হবে না। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন ও ২০১৮ সালের মধ্যরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি মনে করে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এর কোনো বিকল্প নেই।

এই লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি ও জনগণের ঐক্যে গড়ে দুর্বার আন্দোলনের গড়ে তোলার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবকে নিয়ে ১২টি মানবাধিকার সংগঠনের জাতিসংঘে দেওয়া চিঠি, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলা, বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে রাজধানী ঢাকাকে চিহ্নিত হওয়া, চাঁদপুরে প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে শিক্ষামন্ত্রীর দুর্নীতি, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দিতে ৮৫ বার সময় পেছানো, করোনার টিকার লক্ষ্যমাত্রা ৭০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ১২টি শীর্ষ মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘ মিশনে র‍্যাবের প্রতি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হত্যা, খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য র‌্যাবসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব বাংলাদেশের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে স্থায়ী কমিটি। এই পরিস্থিতি সৃষ্টির সব দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।

গতকাল সোমবার রাতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভা হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।