জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন। আপনার দায়িত্ব তো বেড়ে গেল। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?
আমি একটা কথাই বুঝি, এর আগে দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। এবার নিয়ে তিনবার। আমার কাছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারই মনে হচ্ছে। আজীবন সম্মাননা পেলে কী অনুভূতি হয়, কী করতে হয়, কিছুই মাথায় আসছে না। আমার খালি একটা বিষয় অবশ্য মনে হচ্ছে, হয়তো মরণোত্তর আজীবন সম্মাননা পেতে হলো না। জীবিত থাকা অবস্থায় পেলাম, এই খুশি বেশি কাজ করছে। আমি তো একজন অভিনয়শিল্পী, কোনো দিন আমার কাজকে অবহেলা করব না। আমার মনে হয়, কোনো শিল্পীই তাঁর কাজকে অবহেলা করেন না।
চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেলেন। এই মাধ্যমের জন্য নতুন কী করতে চান?
নতুন করে অন্য কিছু ভাবি না। আমি যেটা ভাবি, আমাদের নতুন ছেলেমেয়েরা যাঁরা আছেন, তাঁরা যেন সত্যিকারভাবে গুরুত্বসহকারে তাঁদের কাজটা করেন। মূল ধারার বাণিজ্যিক সিনেমা এখন কঠিন সময় পার করছে। এটা সবাই মিলে উত্তরণের চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু মূল ধারার বাণিজ্যিক সিনেমার ক্ষেত্রে আমরা একটু বেশি অনুকরণপ্রিয়। অন্যকে দেখে ভালো করার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের নিজস্বতা দিয়ে ভালো করা গেলেই সফলতা পাব বেশি। এদিকে সবার নজর দেওয়া উচিত।
আপনার সঙ্গে আরও একজন অসাধারণ শিল্পী পাচ্ছেন আজীবন সম্মাননা। তাঁর ব্যাপারে কিছু বলুন।
নিজের ব্যাপারটা যতটা না বুঝি, তার চেয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের অর্জনে আমি বেশি খুশি। সত্যিই ভীষণ খুশি। আমার খালি মনে হচ্ছে, আমি কি বেশি আগে পেয়ে গেলাম? ইলিয়াস কাঞ্চন অবশ্যই পাওয়ার উপযুক্ত। তবে আমাদের আরও কয়েকজন আছেন এই অর্জনের দাবিদার। একসঙ্গে অনেককে তো আজীবন সম্মাননা দেয় না। আমাদের আরও অসাধারণ অনেক শিল্পী আছেন, যাঁরা এটা পাওয়ার উপযুক্ত। তাঁদের দিকেও সরকার যেন নজর দেয়। এ রকম করে সবাই যেন আমরা পাই। আমার একা আনন্দিত হয়ে লাভ নেই। আমরা আনন্দ যদি ভাগ করতে না পারি সবার মধ্যে, সবাই যদি খুশি না হন, তাহলে আনন্দটা আমার মধ্যেই থেকে যাবে।