ইভিএম নিয়ে আগাম সতর্কতা


১৯৭১ সালে দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হলো, এর আগেও ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু জনগণের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। ব্রিটিশের শাসন শোষণের মধ্যেই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীজ বপন হয়েছিল। একদল দালাল সৃষ্টি করে ব্রিটিশ ভারতকে শাসন শোষণ করত। ভারতীয় নাগরিকদের উচ্চপদে অর্থাৎ ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ হিসেবে যাদের চাকরি দেয়া হয়েছিল ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত রাজকর্মচারীদের চেয়ে ব্রিটিশের ভারত বংশোদ্ভূত কর্মচারীরা ভারতবাসীর ওপর বেশি অত্যাচার নির্যাতন করেছে।

সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ভারতকে স্বাধীন করার স্বপ্নদ্রষ্টা সুভাষ বোস যখন কারাগারে অনশনরত তখন তার অনশন ভাঙানোর জন্য ব্রিটিশ অফিসার ব্যর্থ হওয়ার পর এক বাঙালি অফিসার সুভাষ বোসের অনশন ভাঙানোর জন্য স্বেচ্ছায় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাঙালি অফিসারের অত্যাচারে সুভাষ বোস অসুস্থ হয়ে শারীরিকভাবে সঙ্কটাপন্ন হলে ব্রিটিশের আদালত সুভাষ বোসকে জামিন দেন। জামিন পেয়ে পরিকল্পিত সন্ন্যাসী পোশাক ধারণ করে আত্মগোপন করে জার্মানিতে যাওয়ার পথে বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন বলে কথিত আছে, যা নিয়ে যদিও দ্বিমত রয়েছে। করম চাঁদ গান্ধী এ কারণেই সুভাষ বোসের শেষকৃত অনুষ্ঠান করার জন্য নিষেধ করেছিলেন।

১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের ওপর যার নির্দেশে ছালাম, বরকত, রফিক, জব্বারগংদের ওপর গুলিবর্ষণ হয়েছিল তিনিও ছিলেন একজন বাঙালি। সইে সময়ের বৃহত্তর ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার বাহাউদ্দিন। ২১ গ্রেনেড মামলায় জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে যারা তৎকালীন সরকারের সমালোচনার সুযোগ করে দিয়েছিল তারাও এ দেশেরই সন্তান বাঙালি পুলিশ অফিসার। ফলে এটাই প্রমাণিত যে, বাঙালি হলেই যে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার মানসিকতা নিয়ে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে দেশপ্রেমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশবাসীর জন্য নৈতিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন তা বিশ্বাস করার উপায় নেই। বাঙালি আমলাতন্ত্রের ট্র্যাডিশন সে কথা বলে না। ঔপনিবেশিক আদলে গঠিত পুলিশ ও প্রশাসন তোষামোদির যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন জেনেশুনে সরকারের জনস্বার্থবিরোধী নির্দেশকেও সত্য ও সঠিক মনে করে তা বাস্তবায়নের জন্য জনগণের উপরে যতটুকু খড়গ চালানো দরকার তার একটুও কম করে না। নৈতিকতা ও মানবতার স্থান আমলাতন্ত্রের অভিধানে নেই যার শুরু ও সূচনা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। কাগজে কলমে বলা হয় যে, দক্ষতাই আমলাদের প্রমোশনের প্রধান উপাদান, কিন্তু সিনিয়র ডিঙিয়ে প্রমোশন এবং লোভনীয় পোস্টিং তাদের ভাগ্যেই জোটে কার্যত যারা উপরস্থদের তৈল মর্দনে বেশি পারদর্শী। ফলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয় না। শেখ হাসিনা সরকার নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কলুষিত করেছে আমলাদের অর্থাৎ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে। নির্বাচন কমিশনও প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ আমলা দ্বারা গঠিত। আমলাদের নৈতিকতাবহির্ভূত ক্রিয়াকর্ম ‘অপরাধ’ প্রমাণ করা যায় না। কারণ আমলাতন্ত্রের এই দুর্বৃত্তায়নকে জায়েজ করার জন্য সরকারি ‘খয়ের খাঁ’ একদল বুদ্ধিজীবী তৈরি হয়ে থাকে। তারা ‘সাদা’কে ‘কালো’ বলতে এবং ‘কালো’কে ‘সাদা’ বলতে কোনো দ্বিধা করেন না।

বাংলাদেশে জাতীয় কী স্থানীয় নির্বাচন সবই সরকারপ্রধানের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার হাতের মুঠোয় বন্দী। দিনের ভোট রাতে করার অভিযোগে অভিযুক্ত সরকার ও নির্বাচন কমিশন এখন বোল পাল্টে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে যার নাম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM), প্রকৃতপক্ষে এর নাম হওয়া উচিত ‘ইভিল ভোটিং মেশিন’ অর্থাৎ শয়তানের বাক্স। সহজ কথায় ভোট ডাকাতি করার একটি উপযুক্ত বাক্স। ১৬ জানুয়ারি ২০২২ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়ে গেল। নির্বাচনের আগেই সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) EVM-এর মাধ্যমে কিভাবে ভোটের রেজাল্ট পরিবর্তন করা যায় তার প্রমাণাদিসহ তথ্য যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করেন, যার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া গেল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। ১৬ জানুয়ারি ২০২২ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাস্তবতার নিরিখে ভোট শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শনের পর থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে মিডিয়াতে চারটি অভিযোগ করে এসেছি, যথা- ১. আঙুলের ছাপ দিলেও অনেক ক্ষেত্রেই ইভিএম ওপেন হয়নি ২. অনেক বুথে দেখেছি মেশিন ত্রুটিপূর্ণ, যা সচল হচ্ছিল না ও ৩. অনেক বুথে দেখেছি যে, মেশিনটি ধীরগতি (Slow) হওয়ায় ভোটার টানতে পারে না। ফলে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার শেষ পর্যায়ে ভোটার কেন্দ্র থেকে চলে গেছে এবং ৪. ইভিএম মেশিনে হাতির বোতামে চাপলে নৌকায় ভোট চলে যাওয়ার অভিযোগও তখনই ভোটাররা জানিয়েছিল। ইভিএম মেশিনে কিভাবে রেজাল্ট পরিবর্তন করা যায় তা পরীক্ষাপূর্বক বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিডিয়াতে প্রকাশ করছে।

গত বছর ১৫ ডিসেম্বর নমিনেশন পেপার কেনার সময় বলেছিলাম যে, ইভিএম একটি ভোট চুরির বাক্স, যা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে, ‘ইহা একটি ভোট ডাকাতি ও জালিয়াতির বাক্স।’ বাস্তবতা যা দেখা গেল এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, ইভিএম দ্বারা ভোটের সংখ্যা পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করা যায়। ‘সিল’ সিস্টেমে ভোট হলে ‘গণনার’ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে আবার গণনার একটি সুযোগ থাকে যাতে ভুলত্রুটি নিরীক্ষা করা যায়, যা ইভিএম মেশিনে ধরা পড়ে না। ফলে বাকপটু অসত্য কথা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সরকারের কাক্সিক্ষত প্রার্থীকে জয়লাভ করানোর অভিলাষ পূর্ণ করা সহজতর হয়।

নির্বাচন কমিশন পূর্ব থেকেই বলেছিল এবং নারায়ণগঞ্জে গিয়ে ভূতপূর্ব ও সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলে ছিলেন যে, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে কঠিনভাবে সুরক্ষা করা হবে। বাস্তবে দেখা গেল যে, সরকারি দলের প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি, বরং কমিশন মিডিয়ার কাছে মিথ্যাচার করে বলেছে যে, কোনো অভিযোগই নাকি তারা পায়নি। অন্য দিকে কমিশনের সব খড়গ নেমে এসেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল আগামী বছরই ঘোষিত হবে। ওই নির্বাচন ইভিএমে হবে বলেই সরকারি সিদ্ধান্ত। নির্বাচন কমিশন ষড়যন্ত্র ও ব্যর্থতার কলঙ্ক নিয়ে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই বিদায় হয়েছে। শোনা যায় ৭০০-৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্বাচন কমিশনের জন্য সরকার ইভিএম মেশিন কিনেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ২০১৮ সালেই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। সরকারের খায়েশ পূর্ণ করার জন্যই বিরোধী দলের মতামতকে কমিশন আমলে নেয়নি।

নাটকীয়ভাবে সার্চ কমিটির সুপারিশে রাষ্ট্রপতি সম্প্রতি আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। নাটকের দৃশ্যগুলো নিরপেক্ষতার ছদ্মাবরণে ছিল দলীয়করণ। কারণ রাষ্ট্রপতি যে ভূমিকাই গ্রহণ করেন, সংবিধানে ৪৮(৩) ধারা মোতাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ ছাড়া রাষ্ট্রপতি কোনো সিদ্ধান্ত বা নির্দেশ দিতে পারেন না। ফলে এটিই প্রতীয়মান হয় যে, সার্চ কমিটি বা নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ বা তার (প্রধানমন্ত্রী) গ্রিন সিগন্যাল ছাড়া রাষ্ট্রপতি নিজস্ব মতামত দিতে পারেননি। ফলে রাষ্ট্রপতির কলমে যাই প্রকাশিত হোক না কেন তা প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রীরই সিদ্ধান্ত। সংবিধানের ৪৮ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের(৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তার অন্য সব দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোনো পরামর্শদান করেছেন কিনা এবং করে থাকলে কী পরামর্শ দান করেছেন, কোনো আদালত সেই সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের তদন্ত করতে পারবেন না।’

বিরোধী দল নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কিত খেলাকে প্রধানমন্ত্রীর কৌশল বলেই মনে করছেন। ফলে সদ্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের ফুল ফোটার আগেই আস্থার প্রশ্নে গলাধাক্কা খাচ্ছে। সরকার নিরপেক্ষতার আবরণে যত খেলাই খেলুক না কেন বিরোধীদলীয় নেতারা তো বটেই, সচেতন জনগণ তা সরকারের খেলাই মনে করছেন। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা বর্তমান ব্যবস্থাপনায় অনেক গৌণ। কারণ নির্বাচন প্রভাবান্বিত হয় কালো টাকা, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের অধীনে, এ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের যে ক্ষমতা সংবিধানে ১২০ ধারায় বলা হয়েছে বাস্তবিক পক্ষে তা অনেক গৌণ। বিগত অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে নির্বাচন কমিশন সবসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখাপেক্ষী থাকে বিধায় তাদের পক্ষে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পর্কে কোনো প্রকার শক্ত নির্দেশ দিতে পারে না। ফলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের চেয়ে নির্বাচনকালে একটি স্বচ্ছ নিরপেক্ষ সরকার প্রয়োজন। নির্বাচনে জয়লাভের প্রশ্নে পুলিশ একটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। নির্বাচনের ৩-৪ দিন পূর্বে থেকে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার মাধ্যমে একটি আতঙ্ক সৃষ্টি করে। যেমনটি করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। বিরোধী দলকে অবশ্যই এক কথায় থাকতে হবে। একবার বলবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আবার বলবে জাতীয় সরকার, কোনো সময় বলবে নিরপেক্ষ সরকার প্রভৃতি একেক রকম বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুকূলে যায়।

ইভিএম প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত রাষ্ট্র যারা এ পদ্ধতি চালু করেছিল তারাও তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তার পরও সরকার জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে অনৈতিকভাবে এ মেশিনটি ক্রয় করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকারের মূল স্লোগান এখন ‘গণতন্ত্র নয় বরং উন্নয়ন’। যে উন্নয়নে ‘সুশাসন’ থাকে না, সে উন্নয়ন জনগণের মন জয় করতে পারে না, ফলে সরকারের জনপ্রিয়তা ও আস্থা যে দিন দিন কমে যাচ্ছে, এ কথা সরকারের উপরের মহলও উপলব্ধি করতে পারছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। বড় নির্বাচনগুলোতে গোয়েন্দা সংস্থার কূটকৌশল লক্ষ করা গেছে, যে কৌশল আগেও ছিল; কিন্তু ‘সময়ের’ দ্বারপ্রান্তে এসে এর আগেও সেসব ‘কৌশল’ শেষাবধি সব সরকারের আমলেই ভেস্তে গেছে। ‘সময়’ ও নদীর ‘স্রোত’ কারো জন্য বসে থাকে না। রাজনীতির খেলা রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য হলেও ‘নৈতিকতা’ সঠিক মাত্রায় না থাকলে ক্ষমতাসীনরা যত কূটকৌশল করুক না কেন একসময় ব্যালেন্সশিট আর মিলাতে পারবে না, ইতিহাসের এই সাক্ষী দেয়। সরকার যখন স্বৈরাচারে পরিণত হয় বা রাজনৈতিক দল যখন মোহে পরিণত হয়ে কর্মীকে কর্মচারী মনে করে তখনো রাজনৈতিক কর্মীর অবমূল্যায়ন হতে থাকে বলে দলে ঘুণে ধরে এবং দলটি পূর্বাবস্থায় ফিরতে গিয়ে এক হাত এগোলে তিন হাত পিছিয়ে পড়ে।

সার্বিক পর্যালোচনায় এটিই প্রতীয়মান হয় যে, সুশাসনকে অগ্রাধিকার না দিয়ে উন্নয়নের ডামাডোলে ক্ষমতা পাকাপোক্ত হয় না। সরকার দিনে দিনে যখন আস্থাহীনতায় পড়তে থাকে তখনই শুরু হয় ইভিএমের মতো নানা ষড়যন্ত্রের কূটকৌশল, যা ক্ষমতাসীনদের উপস্থিত কিছু সুফল দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে জাতির জন্য বয়ে আনে বড় ক্ষতি। রাজনৈতিক দলগুলোর ইভিএমে জাতীয় নির্বাচনে যাওয়া কোনোভাবে সঠিক হবে না, যা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার এখনই সময়। সরকার অনেক লোভ লালসা দেখাবে, দেশী-বিদেশী গোয়েন্দারা কূটচাল চালাবে, কিন্তু ইভিএমে ভোট হলে গণমানুষ হয়ে পড়বে হতাশ। বাস্তবতার নিরিখে জাতীয় নির্বাচনের আগেই আগাম সতর্কবাণী দিয়ে গেলাম।

লেখক : রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী (অ্যাপিলেট ডিভিশন)
E-mail: taimuralamkhandaker@gmail.com