- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ অক্টোবর ২০২২, ২১:৩৮
ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ সে দেশে সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে শোচনীয় ফুটবল স্টেডিয়াম বিপর্যয়ের তদন্ত শুরু করেছে।
কর্মকর্তারা এখন বলছেন, পূর্ব জাভার মালাং-এ ম্যাচটিতে অন্তত ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে মৃতের সংখ্যা ১৭৪ বলে জানানো হয়েছিল।
হাজার হাজার ফুটবল সমর্থক মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়ার পর পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। আর তখনই এই পদ-দলনের ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আরেমা ও তাদের তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী পারসেবায়া সুরাবায়ার মধ্যকার খেলায় স্টেডিয়ামটিতে উপস্থিত দর্শক সংখ্যা ধারণক্ষমতার বেশি ছিল।
সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, পূর্ব জাভায় আরেমা এফসি প্রতিদ্বন্দ্বী পারসেবায়া সুরাবায়ার সাথে হেরে যাওয়ার পর সমর্থকদের সাথে পুলিশের ওই সংঘর্ষ হয় যাতে আরো অন্তত ১৮০ জন আহত হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে খেলার শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে সমর্থকরা মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়ে।
এরপর পুলিশ টিয়ার শেল ছুঁড়তে শুরু করে এবং এ সময় হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে এবং দমবন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পূর্ব জাভার পুলিশ প্রধান নিকো আফিনতা।
দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী বলছেন, স্টেডিয়ামটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চার হাজার দর্শক বেশি ছিল।
ঘটনাটির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের শীর্ষ লিগের সব খেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
নিহতদের মধ্যে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন। ৩৬ জন স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাকিরা হাসপাতালে নেয়ার পর মারা গেছেন, বলছিলেন আফিনতা।
তিনি জানান, সবাই একটি পয়েন্ট দিয়েই বের হওয়ার চেষ্টা করছিল। ফলে প্রচণ্ড ভিড়ের একপর্যায়ে অক্সিজেনের অভাবে নিঃশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রাণহীন দেহগুলো ফ্লোরে পড়ে আছে।
ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করা হবে এবং তারা বলেছে এ ঘটনা দেশটির ফুটবল ভাবমূর্তিতে কালিমা মেখে দিয়েছে।
ঘটনাটির পর দেশটির শীর্ষ ফুটবল লিগ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
