- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫২, আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:২০
ইতিহাস লেখা হলো না বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে জেতা হলো না টেস্ট। আবারো স্বপ্ন দেখিয়ে উপহাস করলো ভাগ্য, আরো একবার সঙ্গী হলো আক্ষেপ! হাতের মুঠো থেকে ম্যাচটা কেড়ে নিয়েছে আইয়ার-অশ্বিন জুটি। তাদের ৭১ রানের জুটিতেই স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ভারত ম্যাচটা জিতে নিয়েছে ৩ উইকেট হাতে রেখেই।
মুমিনুলের হাতে আসা অশ্বিনের ক্যাচ মিসের মাশুলই যেন দিতে হলো বাংলাদেশকে। সেই ক্যাচ মিসের পর থেকেই যেন পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ, বিপরীতে বিশ্বাস খুঁজে পায় ভারত। জীবন পাওয়া অশ্বিনই হয়ে উঠেন জয়ের নায়ক। আইয়ারের সাথে হার না মানা ৭১ রানের জুটি তুলেন তিনি। ফলে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেই অনায়াসে জয়ের বন্দরে পা রাখে ভারত। আইয়ার ২৯ ও অশ্বিন অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে।
অবশ্য এর আগ পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশেরই হাতে। সকালটাও শুরু করেছিল বাংলাদেশ দারুণ কিছু মুহূর্তে। উনাদকাতকে ফিরিয়ে শুরু করেছিলেন সাকিব, আর তার দেখানো পথেই ৩ রানের মাঝেই মিরাজ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রিশভ পান্ত আর অক্ষর প্যাটেলকে। দ্রুত ফিরে যেতেন অশ্বিনও, তবে মুমিনুলের ক্যাচ মিসেই যেন ম্যাচটা মিস করে বসলো টাইগাররা।
এইদিন ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করে ভারত। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ১০০ রান, বিপরীতে বাংলাদেশের চাই ৬ উইকেট। তবে নাইটওয়াচম্যান উনাদকাত ১৩ করে ফিরলে আশার পালে হাওয়া লাগে। এরপর ৩ রানের মাঝে রিশভ প্যান্ত ৯ এবং গলার কাঁটা হয়ে উঠা অক্ষর প্যাটেল ৩৫ রান করে ফিরলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাংলাদেশের হাতেই। তবে এর পরেই পথ হারায় বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২২৭ রান। বিপরীতে ভারতের প্রথম ইনিংস থামে ৩১৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার বাংলাদেশ ২৩১ রান সংগ্রহ করায় জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৫ রান। তবে তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ২৩ ওভার ব্যাট করেই বিপাকে পড়ে যায় সফরকারীরা। মিরাজ ও সাকিবের ভেল্কিতে হারিয়ে ফেলে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যান।
দ্বিতীয় টেস্টেও হেরে যাওয়ায় সিরিজও হারলো বাংলাদেশ। এর আগে চট্টগ্রামে সিরিজে প্রথম টেস্টেও জয় পেয়েছিল ভারত দল। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল সফরকারীরা।
উল্লেখ্য, টেস্ট খেলুড়ে পাঁচটি দেশের বিপক্ষে কখনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। অবশ্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কখনো টেস্ট খেলেইনি টাইগাররা। তবে বাকি চারদলের মাঝে একটা দল ভারত। আজ জিততে পারলে হয়তো সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়াতো তিনে, তবে তা আর হয়ে উঠেনি।