০৯ জুলাই ২০২৩, ১১:০৪ পিএম
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ সফরে এলেন। সফরের শুরুর দিন রোববার (৯ জুলাই) সকালে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির গুলশানের বাসায় শুরু হয় প্রথম কর্মযজ্ঞ।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, হোয়াটলির বাসভবনে ইইউর ঢাকায় নিযুক্ত স্পেন, ইতালি, জার্মান, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, সুইডেনসহ আরও দু’একটি মিশনের কূটনীতিকদের উপস্থিতে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল কিভাবে এখানে কাজ করতে পারেন, সে বিষয়ে তাদের ব্রিফ করা হয়।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ইইউর কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর ঢাকায় ইইউর অফিসে পশ্চিমা দূতদের বাহিরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল। তারা বৈঠকে জাপান ও কোরিয়ার মনোভাব জানতে চেয়েছেন বলে আভাস মিলেছে।
শনিবার ৮ জুলাই সন্ধ্যায় ইইউর স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দলের দুই সদস্য ঢাকায় আসেন। বাকি চার সদস্য আট থেকে নয় ঘণ্টা ব্যবধানে ঢাকায় পৌঁছান।
আরও পড়ুন >>> ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের দুজন ঢাকায়
ইইউর দলটি দুই সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এসময়ে তারা ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞ দলটি তাদের মূল্যায়ন মতামত জমা দেবেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের কাছে। তাদের মতামত ইতিবাচক হলে পরবর্তীতে আরও প্রতিনিধিদল পাঠাবে ইইউ। আর সবকিছু ঠিক থাকলেই অর্থাৎ প্রতিনিধিদলের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ইইউ প্রধান।
ঢাকা মিশনে দলটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়াদি মূল্যায়ন করবে। দলটি বাংলাদেশে অবস্থানকালে সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছিল ইইউ। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক নয় বলে সেবার পর্যবেক্ষক দল পাঠায়নি ইইউ। সবশেষ, ২০১৮ সালের নির্বাচন কমিশন ইইউর পর্যবেক্ষক দলকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানায়নি।