জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে কোনো “গোপন বন্দিশালা” থাকতে পারে না। অজ্ঞাতনামা নির্দেশে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিক আক্রান্ত বা গ্রেপ্তার হতে পারে না। কোনো নাগরিক নির্মমতা বা বীভৎসতার শিকার হতে পারে না।’
আজ সোমবার ঢাকার উত্তরায় শরীয়তপুর জেলা জেএসডি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে আবদুর রব এ কথা বলেন বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘ঢাকায় একটি গোয়েন্দা সংস্থার আয়োজনে আয়নাঘর নামক একটি স্থাপনায় সরকারবিরোধী ও বিরুদ্ধমতের অনেককে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর আটক রাখা হয়েছিল।’
রব বলেন, ‘পরিকল্পিত গুম, হত্যা, নির্যাতন, অবৈধ আটক এবং গোপন বন্দিশালা শুধু গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়। বরং এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধেরও সমতুল্য। তাই দ্রুত “তদন্ত কমিশন” গঠন করে কথিত “আয়নাঘর”-এর প্রকৃত অবস্থা জাতির সামনে উপস্থাপন করে জনগণকে ভয়ভীতিমুক্ত করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।’
আবদুর রব বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তার নামে সরকারের গোপন অভিলাষ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে ভিন্ন মত ও পথের মানুষকে তুলে নিয়ে গোপন কারাগারে অন্ধকারাচ্ছন্ন কারাকক্ষে মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর আটক রেখে ভয়াবহ নির্যাতন করা আইনগত বা নৈতিকভাবে গ্রহণীয় নয়। আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে সংবিধানে যে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে, তা লঙ্ঘন করার এখতিয়ার প্রজাতন্ত্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। এই নিষ্ঠুর রাষ্ট্রব্যবস্থা উচ্ছেদ করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে।’
দলের কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, বাংলাদেশ কারও উপনিবেশ নয়। অবিলম্বে গুম, খুন, নির্যাতন, অবৈধ আটক ও গোপন বন্দিশালা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করত হবে। সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সাংবিধানিক শৃঙ্খলার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ ইউসুফ ও শরীয়তপুর জেলা আহ্বায়ক নূরুল ইসলাম মাল প্রমুখ এ আয়োজনে বক্তৃতা করেন।