নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরিক–মিত্রদের আসন ভাগাভাগির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা। সব শরিক চায় নৌকা। মুখে বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; কিন্তু সবই তো নৌকা প্রতীকের। মাঝি একজনই।
আজ সোমবার এক ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘যতসব খুদ–কুঁড়ো পার্টি এবং স্বতন্ত্র নির্বাচনের মুলা খেতে সব এক ছাতার নিচের বাসিন্দা হতে গেছে। নামেই আলাদা।’
ঘরে–বাইরে কোথাও নিরাপত্তা নেই অভিযোগ করে রুহুল কবির বলেন, সরকারের প্রতিপক্ষদের জীবন রাস্ট্রীয় নজরদারি ও বন্দুকের নলের নিচে বন্দী। মিথ্যা মামলায় সুস্থ–সবল নেতা–কর্মীদের নির্যাতন করে কারাগারে নিয়ে লাশ বানিয়ে বের করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে চলমান ক্র্যাকডাউনের মধ্যে চলতি ডিসেম্বরে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই বিএনপি নেতা-কর্মী। সারা দেশের কারাগারে বন্দীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ। বাংলাদেশে বিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে কারাগারে বন্দী বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
পেঁয়াজের সিন্ডিকেট
‘একতরফা পাতানো’ নির্বাচনী খরচ জোগাতে সিন্ডিকেটের হাতে নিত্যপণ্যের বাজার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির। তিনি বলেন, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকারের বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই।
রুহুল কবির অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীরা যেমন খুশি দাম নির্ধারণ করছেন। জনগণের ভোটের প্রয়োজন হলে তারা (সরকার) দলীয় ব্যবসায়ীদের হাতে বাজারের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিত না।