আসন ভাগাভাগি নিয়ে চলছে দরকষাকষি

আওয়ামী লীগ

নির্বাচনের বল মাঠে গড়াতেই শুরু হয়েছে নানা সমীকরণ। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে জোটের শরিকসহ অনেক নেতা আসন ভাগাভাগির জন্য দরকষাকষির ছক নিয়ে তৎপর। একাদশ সংসদ নির্বাচনে পাওয়া আসনের পাশাপাশি নতুন আসন বা ভোটের পর কী পদ আদায় করা যায়, সে পরিকল্পনায় ব্যস্ত সংশ্লিষ্টরা।

অনেকেই ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কথাও বলছেন। কেউ কেউ গত নির্বাচনের চেয়ে এবার বেশি আসন দাবি করে বসেছেন। কীভাবে আসনগুলো নিজেদের আয়ত্তে আনা যায়, সেই কৌশল নির্ধারণে সময় পার করছেন নেতারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল রূপ নিয়েছে। এখন পর্যন্ত শরিকদের জন্য কোনো আসন ছাড়ের ঘোষণা না দেওয়ায় হঠাৎ করেই এক ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়েছেন জোটভুক্ত দলের অনেক নেতা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা কতটুকু ছাড় দেবে, কতটুকু আনুকূল্য দেখাবে-এমন ভাবনা পেয়ে বসেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট শরিকদের। শরিক দলের যেসব নেতা নৌকায় ভর করে কয়েক দফা সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সময়ও খুব ভালো কাটছে না।

এমনকি জোটের বাইরে থেকেও যারা নৌকা নিয়ে কিংবা আসন সমঝোতা করে গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন, তারাও এবার অন্ধকারে। এবারের নির্বাচন ঘিরেও একাধিক জোট তৈরি হয়েছে। তারাও মনে করেন শাসক দল তাদের কিছু আসন ছেড়ে দেবে। কোন কোন আসন তারা পাবে, তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। শাসকদল নিজে থেকে যা ছাড়বে, এর চেয়ে বেশি কিছু পাওয়ার জন্য বার্গেনিং পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। এসব করতেই সময় চলে যাচ্ছে। অথচ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জামার শেষ দিন। সময়ও বেশি নেই। এ অবস্থায় শাসক দলটির সঙ্গে সমঝোতা, আসন ভাগাভাগিসহ চাওয়াপাওয়ার হিসাব মেলাতে দেনদরবারে ব্যস্ত বিভিন্ন দলের নেতারা। এসব কারণে এখন পর্যন্ত দলগুলোর প্রার্থীরা নির্বাচনি কার্যক্রমও সেভাবে শুরু করতে পারছেন না। সংশ্লিষ্ট দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস মিলেছে।

জানা যায়, ১৪ দলের শরিকরা আগেই জানান দিয়েছে, তারা এবার বেশি আসন চাইবে। পাশাপাশি যেসব আসনে তাদের সংসদ-সদস্য রয়েছেন, সেগুলোও বহাল রাখার দাবি তাদের। এ নিয়ে পর্দার অন্তরালে দরকষাকষিও চলছে। চলছে আসন ভাগাভাগি বা সমঝোতা বের করার উপায়। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শরিক দলের একাধিক শীর্ষ নেতার কথা হয়েছে। শিগগিরই আসন ভাগাভাগি নিয়ে ১৪ দলীয় জোটের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাদের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, সমঝোতা হলে জোটকে কিছু আসন ছেড়ে দেওয়া হবে। জোট গঠন এবং আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে বলেন, কারা কারা প্রার্থী, সেটা আমরা আগে দেখি। আমাদের হাতে এখনো সময় আছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। এ পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যে আমরা অবজার্ভ করব, মনিটর করব, অ্যাডজাস্ট করব, অ্যাকোমোডেট করব। যেখানে যেটা প্রয়োজন, সেটা আমরা করব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্বাচনে লড়তে ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে শরিকদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও ভেতরে ভেতরে বেশ ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে একজন বাদে বাকি শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করায় তারা বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি। আওয়ামী লীগ না চাইলে নির্বাচন করবেন না-একটি শরিক দলের শীর্ষ নেতা এমনটি জানিয়ে দিয়েছেন। আরেক নেতা ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ বোধহয় এখন আর কাউকে প্রয়োজন মনে করছে না।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও শরিকদের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালেও আমরা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছিলাম। তখনও কিন্তু প্রায় ৩০০ আসনে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। পরে মহাজোটের মধ্যে সমন্বয় করা হয়। গতবারও প্রায় সব আসনে নমিনেশন দিয়ে পরে জোটের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছিল। এখনো ২৯৮ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি, জোটবদ্ধ নির্বাচন করব। সেটি আমাদের দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। মনোনয়ন দিলেও জোটের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

১৪ দলের শরিকরা মনে করছেন, এককভাবে প্রার্থী ঘোষণার পর সমন্বয় করা হলেও নির্বাচনি মাঠে অসুবিধা সৃষ্টি হবে। এক ধরনের নৈরাজ্য তৈরি হবে। এমনকি আওয়ামী লীগের ঘোষিত প্রার্থী কিংবা বিদ্রোহী কেউ যদি নির্বাচনি মাঠে সক্রিয় থাকেন, তাহলে শরিক দলের প্রার্থীদের জিতে আসা কঠিন হবে। ১৪ দলের শরিক একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শরিক দলের এক নেতা যুগান্তরকে বলেন, আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত বন্ধু কেবল ১৪ দলের শরিকরা। এছাড়া আওয়ামী লীগের আর কোনো বন্ধু নেই। যেনতেনভাবে এবারের নির্বাচনি বৈতরণি পার হয়ে যাওয়া সহজ হলেও পরবর্তী সময়ে শরিকদের নানা কাজে লাগবে। বিশেষ করে নির্বাচন-পরবর্তী বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে আওয়ামী লীগকে দ্বারস্থ হতে হবে বন্ধু দলগুলোর কাছে। তাই শরিকদের অবজ্ঞা করলে পরবর্তী সময়ে তাদের মাশুল দিতে হবে। দুটি আসন ফাঁকা রেখে ২৯৮ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ ভালো করেনি।

সূত্র জানায়, সব আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ঘোষণা করায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে ১৪ দলের শরিক এবং আওয়ামী লীগের মিত্ররা। ক্ষমতাসীনরা আভাস দিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখাতে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে পারবেন না। শরিক এবং মিত্রদের আশঙ্কা, এ কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া আসনে আওয়ামী লীগ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। তাহলে নিজেদের সামর্থ্যে ভোটে জেতা কঠিন হবে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদেরও মাথায় আছে। তাই মান-অভিমান কমাতে নেপথ্যে শুরু হয়েছে আলাপ-আলোচনা।

এ পরিস্থিতির মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনি ট্রেন ছুটছে তার নিজস্ব গন্তব্যের দিকে। নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ২৬টি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে তাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের পর সোমবার প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের আসন ফাঁকা রেখে ২৮৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে। এর আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ আরও বেশকিছু রাজনৈতিক দল ঘোষণা করে তাদের প্রার্থী তালিকা। নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া অন্য রাজনৈতিক দলও বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং গণতন্ত্রী পার্টি।

এদিকে প্রধান শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ঢাকা-৮ আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে মনোনয়নের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে এখানে। ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, একই দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীসহ শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের আসনেও এবার দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এর বাইরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে গত তিনটি (নবম, দশম ও একাদশ) নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ-সদস্যদের মধ্যে মাত্র একজন ছাড়া বাকি সবার আসনে প্রার্থী দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এটিও ভালোভাবে নিতে পারছেন না তারা।

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে ১৪ দলের অন্যতম প্রধান শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক বা না আসুক, ১৪ দল জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করবে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে চিঠিতে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে শরিক দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেবেন।

এ প্রসঙ্গে জোটের আরেক শরিক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়াম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগ নয়, ১৪ দলেরও নেত্রী। তিনি চাইলে তরিকত ফেডারেশন নির্বাচন করবে। তরিকত ১৩টি আসন চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা দেবেন, তাতেই সন্তুষ্ট থাকব।

জাতীয় পার্টি-জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, সব দলই ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিচ্ছে, আমরাও দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আলোচনা হবে, আলোচনা করেই জোটবদ্ধ নির্বাচন হবে। জোটবদ্ধ নির্বাচনের বিষয়টি আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ায় একটা জটিলতা হবেই। প্রার্থী ঘোষণার আগে যদি শরিকদের সঙ্গে আলোচনা-সমঝোতা করা যেত, তাহলে ভালো হতো। তবে আমরা মনে করি, খুব বেশি অসুবিধা হবে না। কারণ, জোটনেত্রীর প্রতি আমাদের আস্থা আছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল গত নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোট বেঁধে ভোটে অংশ নেয়। এর বাইরে মহাজোটের শরিক দল হিসাবে বিকল্প ধারা বাংলাদেশও গত দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ভোট করে। তবে বিএনপিনহ তাদের বলয়ে থাকা দলগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে এখন পর্যন্ত অনড়। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে তারা হরতাল-অবরোধসহ নানা কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পালন করে যাচ্ছে।

বিএনপিবিহীন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক ও মিত্র দল জাতীয় পার্টিকে ৩৯ আসন ছেড়েছিল আওয়ামী লীগ। প্রকাশ্য জোট না হলেও গত দুই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছিল তারা। দশম সংসদ নির্বাচনে ৪২ এবং পরের নির্বাচনে ২৬ আসন ছেড়েছিল। এসব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিল না। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ২৬১ প্রার্থীর তিনজন বাদে সবাই জয়ী হন। তবে ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড় পাওয়া পাঁচটি আসনের দুটিতে, জাসদ তিনটির একটিতে হেরে যায়। জাতীয় পার্টি পরাজিত হয় পাঁচটিতে। এবার আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টিও ২৮৯ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দশম জাতীয় নির্বাচনে ৮৮ আসনে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬৩ আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী ছিলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু অবশ্য একাধিকবার বলেছেন, তারা কারও সঙ্গে জোট-মহাজোট এমনকি আসন সমঝোতায় যাবেন না। এককভাবেই নির্বাচন করবেন।

উল্লেখ্য, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

যুগান্তর