আল্লামা শফীর আহ্বান : অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ৬ এপ্রিলের ঢাকা লংমার্চ কর্মসূচি সফল করুন

P1_allama-shafir-ahban

আল্লাহ ও রাসুলের জঘন্য অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগার এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক ও পক্ষাবলম্বনকারীদের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যে কান না দিয়ে দাবি আদায়ে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিল দেশের প্রতিটি জেলা থেকে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চসহ শান্তিপূর্ণ সব প্রতিবাদ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
এদিকে এবার নাস্তিক ব্লগারদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন বৃহত্তর রংপুরের তৌহিদি জনতা। অপরদিকে নাস্তিক-মুরতাদদের বিচার দাবিতে চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ।
অপরদিকে খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান এক বিবৃতিতে হুশিয়ারী উচ্চরণ করে বলেছেন, ৬ এপ্রিলের লংমার্চে বাধা দিলে দেশে আগুন জ্বলবে। এছাড়াও রাজশাহী খুলনা ও চট্টগ্রামে নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আহ্বান : আল্লাহ ও রাসুলের জঘন্য অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগার এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক ও পক্ষাবলম্বনকারীদের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যে কান না দিয়ে দাবি আদায়ে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিল দেশের প্রতিটি জেলা থেকে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চসহ শান্তিপূর্ণ সব প্রতিবাদ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। গতকাল দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসা মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, নাস্তিক ব্লগার ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা হেফাজতে ইসলাম ও আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও জঙ্গিবাদের কল্প নাটক সাজিয়ে বিষোদ্গারমূলক বক্তব্য রাখছেন। অথচ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দেশি-বিদেশি পরিদর্শনকারীসহ দেশের কোটি কোটি তৌহিদি জনতা দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসা এবং হেফাজতে ইসলামের রাজনীতিমুক্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিবহাল। প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রায় প্রতিদিনই আমাদের সঙ্গে দেখা করছেন, আমাদের পড়ালেখার পরিবেশ এবং হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তারা সবাই আমাদের অরাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ব্যাপারে প্রশংসা করছেন। সুতরাং আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের দুশমনরা তাদের অপতত্পরতাকে ঢাকার জন্য যত মিথ্যাচার ও অপপ্রচারই করুক, দেশের তৌহিদি জনতা এতে মোটেও বিভ্রান্ত হবে না। সাধারণ মানুষ এটা সহজেই বুঝতে পারছেন যে, যেখানে নাস্তিকরা মহান আল্লাহ ও প্রিয় নবীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অপপ্রচারে লিপ্ত, সেখানে তারা প্রতিবাদী ওলামা-মাশায়েখ ও হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া স্বাভাবিক। আল্লামা শাহ আহমদ শফী সমালোচনাকারীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, আপনারা প্রমাণ করে দেখান হেফাজতে ইসলাম ও ওলামা-মাশায়েখের কোন কোন দাবির সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসা মিলনায়তনে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে গতকাল সকাল ১০টায় অনুুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমির আল্লামা হাফেজ শামসুল আলম, আল্লামা আবদুল মালেক হালিম, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, সাবেক মন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মহাসচিব আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা লোকমান হাকীম, মুফতি জসীম উদ্দীন, মাওলানা ফোরকান আহমদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা সলিম উল্লাহ, মাওলানা আইয়ূব বাবুনগরী, মুফতী হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা কাতেব ইলিয়াছ ওচমানী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আলহাজ মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, মাওলানা হারুন বিন ইজহার, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা সাহাবুদ্দীন নানুপুর, মাওলানা মুজাম্মেল হক, মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস প্রমুখ।
সভায় জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে আগামী ৬ এপ্রিল দেশের প্রতিটি জেলা থেকে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চসহ ঘোষিত সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য নবীপ্রেমিক তৌহিদি জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয় এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি বিভাগে সাংগঠনিক সফরের জন্য উচ্চপর্যায়ের ৭টি কমিটি গঠন করা হয়। সভায় হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে লংমার্চ বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
বৃহত্তর রংপুরে নাস্তিক ব্লগারদের প্রতিহতের ঘোষণা : এবার নাস্তিক ব্লগারদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন বৃহত্তর রংপুরের তৌহিদি জনতা। অপরদিকে নাস্তিক-মুরতাদদের বিচার দাবিতে চট্টগ্রামের পটিয়ায় বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্লগার কর্তৃক মহানবী (সা.)-কে চরমভাবে অবমাননার প্রতিবাদে গতকাল সম্মিলিত ওলামা পরিষদ রংপুরের উদ্যোগে সদর মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা বায়েজিদ হোসাইন, মাওলানা মুহাম্মদ আলী, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা নাজমুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একশ্রেণীর ব্লগার নামধারী চরম ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক মুরতাদ আমাদের প্রাণপ্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং শান্তির ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে যেরূপ অশ্লীল ও অসভ্য ভাষায় জঘন্য কটূক্তি করার গর্হিত কাজে লিপ্ত হয়েছে তা সরাসরি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ছাড়া আর কিছু নয়। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে, শাহ জালাল, শাহ মাখদুম, শাহ কেরামত আলী জৈনপুরীর (রহ.) স্মৃতিধন্য বাংলার জমিনে কুলাঙ্গাররা মহানবী (সা.) সম্পর্কে এ ধৃষ্টতা কীভাবে দেখাতে পারছে তা ভাবতেও অবাক লাগে। তারা বলেন, এতদিন আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু এখন প্রতিবাদ নয়, যেখানেই নাস্তিক ব্লগারদের দেখা যাবে সেখানেই তৌহিদি জনতা তাদের প্রতিরোধ করবে। পীর আওলিয়ার বাংলাদেশে এদের স্থান হতে পারে না।
পটিয়ায় হাজারো মানুষের মিছিল : এদিকে দেশের বৃহত্তম ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের পটিয়া আল জামিয়া আল ইসলামিয়ার উদ্যোগে নাস্তিক মুরতাদ ব্লগারদের শাস্তি ও ব্লাসফেমি আইন পাসের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ধারা রুখে দেওয়ার দাবিতে মিছিল বের হয়। তৌহিদি জনতার একটি মিছিল পটিয়া ডাকবাংলা থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ হয়ে আবারও ডাকবাংলার মোড়ে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা নাস্তিক মুরতাদ ব্লগারদের অনতিবিলম্বে শাস্তি দাবি করেন। তারা বলেন, সারা দেশের তৌহিদি জনতার এখন প্রাণের দাবি হলো নাস্তিক মুরতাদ ব্লগারদের কঠোর বিচার করা। তারা সরকারকে নাস্তিক মুরতাদদের বিচারে আর বিলম্ব না করারও আহ্বান জানান। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মুজাফফর সাহেব, মুফতি মাওলানা হাফেজ আহমদুল্লাহ, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামজা, মাওলানা আখতার হোসাইন, মাওলানা জাকের হুসাইন প্রমুখ।
খেলাফতে ইসলামের হুশিয়ারী : খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী ও মহাসচিব মাওলানা ফজলুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, শাহবাগের নাস্তিক-মুরতাদদের সরকার পুলিশের মাধ্যমে পাহারা দিয়ে আওয়ামী লীগের দালালি করার সুযোগ করে দিয়েছে। ডা. ইমরান এখন আর গণজাগরণ মঞ্চের নেতা নয়। সে আওয়ামী যুবলীগের নেতায় পরিণত হয়েছে।
তারা বলেন, বর্তমান সময়ের বীর মুজাহিদ আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে দেশের ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতা শাহবাগি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। আগামী ৬ এপ্রিল আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে ঢাকামুখী যে লংমাচের্র ডাক দেয়া হয়েছে, তা যে কোনো মূল্যে দেশের তৌহিদি জনতাকে সফল করার উদাত্ত আহ্বান জানান। তারা সরকারকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইসলাম এবং দেশ রক্ষায় এই লংমার্চে যদি বাধা দেয়া হয়, তবে সারাদেশে আগুন জ্বলবে। তারা আহমদ শফী সম্পর্কে স্বঘোষিত নাস্তিক এবং ইসলামের দুশমন শাহরিয়ার কবিরের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এসব কুলাঙ্গার দেশে হানাহানি সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। এসব দেশদ্রোহীকে দেশের যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই প্রতিহত করার আহ্বান জানান নেতারা।
সোনারগাঁয়ে আলেম মাশায়েখদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময় : দাড়ি রাখলে আর টুপি পাঞ্জাবি পড়লেই কেউ জামায়াত-শিবিরের লোক হয়ে যায় না। ইসলামের নাম ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির দেশে অরাজকতার সৃষ্টি করছে। এ অরাজকতায় আলেম মাশায়েখরা কেউ জড়িত নেই। দেশে অরাজকতাকে আলেম সমাজ প্রশ্রয় দেবে না। আর বিনা কারণে আলেমদের হয়রানি করা চলবে না। আল্লাহ ও নবী রাসুলের বিপক্ষে কেউ কোনো কথা বললে তাকে আলেম সমাজ ছাড় দেবে না। গতকাল রোববার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা কমপ্লেক্স চত্বরে থানা পুলিশ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের আলেম মাশায়েখ ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নরুল ইসলাম (পিপিএম)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) উত্তম প্রসাদ পাঠক, সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই ভূঁইয়া, মোহাম্মদীয়া হাফেজিয়া মাদরাসার সভাপতি হাফেজ মীর মোবারক হোসেন। সোনারগাঁ থানার ওসি মো. আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, মুফতি সাইদুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন, মাওলানা আবু বক্কর, সেকেন্ড অফিসার আজমিরুজ্জামান ও আবদুল হামিদ।
সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নরুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচাল করতে ইসলামের নাম ব্যবহার করে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা দেশে নাশকতা সৃষ্টি করছে। এ নাশকতা রোধ করতে দেশের আলেম-মাশায়েখদের সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, সোনারগাঁ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আলেম-মাশায়েখসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
রাজশাহীতে হেফাজতে ইসলামের মানববন্ধন-সমাবেশ : রাসুল (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি ও ইসলাম অবমাননার দায়ে নাস্তিক ব্লগারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আটক ইমামদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন করেছে হেফাজতে ইসলাম। গতকাল বেলা ১১টার দিকে মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তৃতা করেন হেফাজতে ইসলাম রাজশাহীর সভাপতি আলহাজ হাফেজ মাওলানা আবদুস ছামাদ, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা আবদুল জব্বার, জামিয়া দারুল উলুম মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা জাকারিয়া, আলীগঞ্জ বাথানপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা গোলাম ফারুক, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নাস্তিক-ধর্মদ্রোহী ব্লগারদের উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে উত্তরাঞ্চলের প্রবেশমুখ যমুনা সেতুতে তাদের প্রতিহত করা হবে। এজন্য বদরের ৩১৩ জনের শহীদি কাফেলা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
খুলনায় হেফাজতে ইসলামের সভা : হেফাজতে ইসলাম খুলনা জেলা শাখার সভায় বক্তারা বলেছেন, শাহবাগি নাস্তিক-ব্লগারদের পক্ষে খুলনায় কেউ কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে তৌহিদি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে।
গতকাল সকালে বাগমারার মারকাজুল উলুম মাদরাসায় সংগঠনের খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুফতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সদস্য সচিব মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, যুগ্ম সদস্য সচিব মুফতি জিহাদুল ইসলাম, মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, মুফতি ইলিয়াস ফারুকী, উপদেষ্টা মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মুফতি আবুল কাশেম প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, ইসলাম ও মুসলমানদের ঈমানের ওপর আঘাত হানার প্রতিবাদে দেশের তৌহিদি জনতাকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। শাহবাগি নাস্তিক-ব্লগাররা পদ্মার এপারে ইসলামবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড করতে আসতে চাইলে তা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।

Source: AmarDeshOnline