কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক bonikbarta.net
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
ছবি: বণিক বার্তা
২০২২-২৩ অর্থবছরে আমাদের হিসাবে ৮৫ লাখ টনের বেশি আলু উৎপন্ন হয়নি। অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক কোটি ১২ লাখ টন। অর্থাৎ হিসাবের ব্যবধান ২৭ লাখ টন। আজ রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন।
রাজধানীতে সংগঠনের কার্যালয়ে আলু উৎপাদনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টন। তাহলে এ বছর ২২ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা। যদিও বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনে সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হিমাগারের ২০ শতাংশ সংরক্ষণ জায়গা ফাঁকা রয়েছে। তাহলে আমাদের প্রশ্ন, আলু যদি বেশি উৎপন্ন হয়ে থাকে তাহলে ধারণক্ষমতা কেন আনুমানিক ২০ শতাংশ অব্যবহৃত রয়েছে?
তিনি বলেন, মে মাসের ২০ তারিখের পর আলু খালাস শুরু হয় তখন হিমাগার শেডে কাঁচা আলুর মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৬-২৭ টাকা। এই দরেই আলুর প্রকারভেদে বিক্রয় শুরু হয়েছিল। যা আজ হিমাগার শেষে ৩৪-৩৬ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা, যা কাঙ্খিত নয়।
মোস্তফা আজাদ বলেন, আমরা মনে করি মূল্যবৃদ্ধির কারণ হলো যারা আলু সংরক্ষণ করেছে তারা মনে করছে আলুর মজুদ কম রয়েছে। সে জন্য তারা আলুর দাম বৃদ্ধি করে চলেছে। ৯ সেপ্টেম্বর সদস্যদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আলু গত বছরের তুলনায় কম সংরক্ষিত রয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে ২৩ লাখ ১২ হাজার টন আলু বিভিন্ন হিমাগারে সংরক্ষিত হয়েছে। আগের বছর ছিল ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৭৬০ টন। এ হিসাবে গত বছরের তুলনায় এবার এক লাখ সাত হাজার ২৩৪ টন আলু কম সংরক্ষিত হয়েছে।
কৃষি বিপণন অদিধপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ২৪ লাখ ৯২ হাজার ৮২ টন আলু সংরক্ষিত হয়েছে এবং গত বছর ছিল ২৭ লাখ ৮ হাজার ৫৯৫ টন। এ হিসেবে ২০২২ সালের চেয়ে এবার হিমাগারে দুই লাখ ১৬ হাজার ৫১৩ টন আলু কম সংরক্ষিত হয়েছে।