আরাকান সংকট আমাদের নতুন নতুন বার্তা দিচ্ছে

আরাকান সংকট আমাদের নতুন নতুন বার্তা দিচ্ছেবায়েজিদ সরোয়ার

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফুর রহমান তপন

 প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০০:৩৪

২০২০ সালে সেনাবাহিনী থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণকারী মো. বায়েজিদ সরোয়ার বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনী,  জাতীয় নিরাপত্তা ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে কাজ করছেন। কর্মজীবনের একটা সময় টেকনাফে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) কমান্ডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে তাঁকে। সেই সুবাদে সীমান্ত  সমস্যাসহ রাখাইন বা আরাকান সীমান্তে সংঘটিত নানা ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। একই সঙ্গে মিয়ানমার ও আরাকানের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংকট-সম্ভাবনাও জানার চেষ্টা করেছেন। এনডিসি কোর্স  গ্রহণকালীন তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল আরাকানে রোহিঙ্গা সমস্যা

সমকাল: কিছুদিন ধরে মিয়ানমারে অভূতপূর্ব সব ঘটনা ঘটছে। ইতোমধ্যে দেশটির সেনাবাহিনী তাতমাদো বহু শহর হারিয়েছে বিদ্রোহীদের কাছে। আপনার দৃষ্টিতে মিয়ানমারের পরিস্থিতি কেমন?

বায়েজিদ সরোয়ার: মিয়ানমার বিশেষত আরাকান বর্তমানে একটা ভূরাজনৈতিক ঘূর্ণিঝড়ের দিকে এগোচ্ছে। দেশটির পশ্চিম সীমান্ত অর্থাৎ বাংলাদেশ-আরাকান বা রাখাইন সীমান্তে এর তীব্রতা বেশি। সেখানে চীন আছে, ভারত আছে, যুক্তরাষ্ট্রও জড়িয়ে পড়তে পারে; আবার বঙ্গোপসাগরের একটা ব্যাপার আছে। এ প্রেক্ষাপটে আমাদের জন্য খুবই চিন্তার বিষয়। আমরা ভাবছিলাম, আরাকানে যুদ্ধ চললে হয়তো রাখাইনরা আসতে পারে আমাদের দেশে। তার আগেই চলে এসেছে সেখানকার সীমান্তরক্ষীরা। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন বিষয়। গত ডিসেম্বরে চিন প্রদেশে যুদ্ধের সময় মিয়ানমারের কয়েকশ  সীমান্তরক্ষী পালিয়ে ভারতে চলে যায়। তাদেরকে শেষমেশ আলোচনার মাধ্যমে ভারত বিমানে করে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে পাঠায়। সে অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগতে পারে।

সমকাল: আরাকানে আরকান আর্মির এ উত্থানের কারণ কী?

বায়েজিদ সরোয়ার: আরাকান কিন্তু হাজার বছর ধরে একটা স্বাধীন রাজ্য ছিল। উন্নত সভ্যতা ছিল সেখানে। আরাকান জাতীয়তাবাদ কিন্তু সেখানে গভীরভাবে আছে, যদিও আমাদের এখানে তা নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। আরাকান আর্মিকে আপনি তামিল টাইগার্সের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। ২০০৯ সালে তারা নতুনভাবে সংগঠিত হয়। তাদের নেতৃত্ব চমৎকার। তারা সুপ্রশিক্ষিত। গেরিলা হলেও তাদের তৎপরতা প্রায় নিয়মিত সেনাবাহিনীর মতো। তাদের শৃঙ্খলা, অস্ত্র, মোটিভেশনও ভালো। তাদের মূল সদরদপ্তর কাচিন প্রদেশে এবং ফাংশনাল সদরদপ্তর চিন প্রদেশে হলেও, আমরা জানতে পেরেছি, তারা সেটা আরাকানে নিয়ে আসতে চায়। আর আরাকানিদের কেন্দ্রবিরোধী যুদ্ধ কিন্তু কাচিন, কারেন জনগোষ্ঠীর মতো বার্মার স্বাধীনতার পরেই শুরু হয়। তখন এক পর্যায়ে বিদ্রোহীরা তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের ছয় কিলোমিটারের মধ্য চলে গিয়েছিল। যদিও পরিবর্তী সময়ে ১৯৫০-এর দশকে প্রধানমন্ত্রী উনু এবং সেনাপ্রধান জেনারেল নে উইন পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হন। রাখাইনভিত্তিক আরাকান ইন্ডিপেন্ডেন্স অর্গানাইজেশন প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারবিরোধী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। তাই রাখাইন যোদ্ধাদের উত্তরসূরি সংগঠন ‘আরাকান আর্মি’র যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অনেক পুরোনো। আরাকানের পুরোনো রাজধানী ম্রাউকে কেন্দ্র করে আরাকানের রাখাইনদের মধ্যে কিন্তু ব্যাপক আবেগ আছে। গত বছর তারা আরাকানে ম্রাউকে কেন্দ্র করে তাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি নিয়ে একটা বিশাল উৎসব করেছে। বৌদ্ধ ধর্ম মিশ্রিত রাখাইন জাতীয়তাবাদী আবেগ তাদের মধ্যে প্রবল। ফলে আরাকান আর্মির উত্থান আকস্মিক মনে হলেও তার শিকড় অনেক গভীরে।

সমকাল: আপনি যে আরকানি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আরকান আর্মির উত্থানের কথা বললেন, সেখানে রোহিঙ্গাদের কোনো স্থান আছে কি?

বায়েজিদ সরোয়ার: আরাকানে রাখাইন ও রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ সময়জুড়ে সহাবস্থান ছিল, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত  মোটামুটি টিকে ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানিরা যখন আরাকানে হামলা চালায়, তখন রোহিঙ্গা মুসলিমের একটা অংশ ব্রিটিশদের সমর্থন দেয়। অন্যদিকে আরাকানির একটা অংশ জাপানকে সমর্থন করে। এর মধ্য দিয়েই বড় ধরনের বিভাজন শুরু হয়। এখানে উল্লেখ্য, বর্তমানে বার্মা ও রাখাইনে জটিল পরিস্থিতির জন্য ব্রিটিশ শাসনের লিগ্যাসির দায় আছে। বিশেষত তাদের ‘ভাগ করো ও শাসন করো’ নীতি। পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারের সেনাশাসকরা একই কৌশল কাজে লাগিয়ে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা ও বৌদ্ধধর্মী রাখাইনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। ১৯৪২ সালে আরাকানে ভয়াবহ দাঙ্গা সংঘটিত হয়, যেখানে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মৃত্যুবরণ করে। কিছু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইনও মারা যায়। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ব্রিটিশরা আরাকান দখলের পর তৎকালীন বাংলা থেকে কৃষি ও অন্যান্য কাজের জন্য কয়েক হাজার অধিবাসীকে রাখাইনে নিয়ে যায়। এ বিষয়টিও রাখাইনদের মধ্যে বেশ অসন্তোষ তৈরি করে। রাখাইনরা মনে করত, এক সময় হয়তো তারা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে এ ভীতি সেনাশাসকরাও ব্যাপকভাবে কাজে লাগায়। সশস্ত্র বাহিনী বা তাতমাদো আমাদের অঞ্চলকে বা আরাকান বাংলাদেশ সীমান্তকে ‘ওয়েস্টার্ন গেট’ বলে থাকে। তাতমাদো প্রচারণা চালায়, এক সময় আরাকান হয়তো মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিমপ্রধান অঞ্চল হয়ে যাবে। অধিকাংশ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে আসার পর আরাকানে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়। এই শূন্যতায় সেখানে আরাকানি রাখাইন জাতীয়তাবাদ আবার উজ্জীবিত হয়, যা আরাকান আর্মির শক্তির অন্যতম ভিত্তি।

সমকাল: এ কারণেই কি আরাকান আর্মির কাছ থেকে রোহিঙ্গা সম্পর্কে অনেকটা নমনীয় মনোভাব দেখা যাচ্ছে?

বায়েজিদ সরোয়ার: আমি যতটুকু জানি, আরাকান আর্মির বর্তমান পলিসি দু’বছর আগের চেয়ে একটু ভিন্ন। তারা রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে কিছুটা উদার। এমনকি তাদের কিছু ছোটখাটো প্রশাসনিক পদেও রোহিঙ্গাদের নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি কিয়া হ্লাইং নামে একজন রাখাইন অ্যাক্টিভিস্টের একটা লেখা পড়েছি, যেখানে শত বছর ধরে রোহিঙ্গা-রাখাইন পাশপাশি  সহাবস্থানের কথা বলা হয়েছে। শাসকদের ফাঁদে বা প্রচারণায় পা দিয়ে রোহিঙ্গাবিরোধী ক্যাম্পেইনে তাদের অংশগ্রহণ ভুল ছিল বলে স্বীকার করা হয়েছে। জানা যায়, বর্তমানে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রোহিঙ্গাদের বড় ধরনের সমস্যা নেই। তবে আরাকান আর্মি এখনই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি হবে– এমনটা বলা যায় না। তাদের বক্তব্য, বর্তমানে চলমান যুদ্ধের নিষ্পত্তির পর তারা রোহিঙ্গা প্রতাবাসনের কথা বিবেচনা করবে। তবে আরাকান আর্মি ইঙ্গিত দিয়েছে, আরাকানের রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ যেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

সমকাল: আরাকানের বর্তমান যুদ্ধের পরিণতি কী?

বায়েজিদ সরোয়ার: আমার ধারণা, আরাকান বা বার্মার অন্যান্য প্রদেশ শেষ পর্যন্ত ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন আদায় করবে। এ ক্ষেত্রে শান প্রদেশের ‘ওয়া স্টেট বা অঞ্চল’ একটি মডেল হতে পারে। সম্প্রতি ‘চিন স্টেট’ ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে। এখানে তাতমাদোর কোনো অবস্থান নেই। আরাকানের ভবিষ্যৎ ব্যবস্থাপনায় চীনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতে পারে। যেহেতু চীনের প্রচুর বিনিয়োগ আরাকানে আছে। এ ছাড়া আরাকানের মাধ্যমেই চীন বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ওয়া রাজ্যও চীনের প্রভাবেই তারা শাসনকার্যে ব্যাপক স্বাধীনতা পেয়েছে। ভবিষ্যতে একটা পূর্ণাঙ্গ ফেডারেল স্টেট হতে পারে মিয়ানমার।

সমকাল: নেপিদোর তাহলে পতন ঘটছে না?

বায়েজিদ সরোয়ার: মিয়ানমারের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন, সেটা একটা ঘুড়ির মতো, যার কেন্দ্রে আছে ‘বামার হার্টল্যান্ড’ বলে পরিচিত নেপিদোসহ বিভিন্ন এলাকা, যেখানে বাস করে মূলত সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার জনগোষ্ঠী (৬৮ %)। প্রান্তিক অঞ্চলে রয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭টি স্টেট। তাতমাদোতে বামারদেরই একচেটিয়া প্রাধান্য। এখনই হয়তো নেপিদোকেন্দ্রিক জান্তা সরকারের পতন ভিয়েতনামের সায়গণ অথবা কাবুলের মতো হবে না। ভৌগোলিক হিসেবে দেশটির ৬০-৭০ শতাংশ এলাকায় সংঘাত ছড়িয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় অঞ্চলে (বামার হার্টল্যান্ড) তাতমাদোর নিয়ন্ত্রণ এখনও নিরষ্কুশ। তবে নেপিদোর একেবারে পতন না হলেও তাতমাদোর পরাজয় শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রদেশগুলো ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন পেতে পারে। কাবুলের মতো পতন না হলেও এক পর্যায়ে হয়তো আলোচনার মাধ্যমে জান্তা সরকারে পরিবর্তন বা নেতৃত্বের পরিবর্তন হতে পারে। বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক খেলায়াড়ও নেপিদোর পাশে আছে।

সমকাল: আরাকান নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কারণটা তাহলে কী?

বায়েজিদ সরোয়ার: আমি মনে করি, পরিস্থিতি এখনও আমাদের আয়ত্তের বাইরে যায়নি। তবে যদি এমন হয়, অন্য প্রদেশগুলো থেকে যুদ্ধের ভরকেন্দ্র রাখাইনে চলে এলো, তখন তাতমাদো সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। তাহলে কিন্তু আরাকান আর্মির সঙ্গে তাতমাদোর সর্বাত্মক যুদ্ধ হবে। একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য, তাতমাদো সমুদ্রপথে আরাকানে সৈন্য পাঠাতে পারে, যেটা অন্যান্য প্রদেশে সম্ভব নয়। তখন সর্বাত্মক যুদ্ধ হলে  নতুন করে রোহিঙ্গা বা রাখাইনের ঢল আমাদের দিকে নামতে পারে।

সমকাল: আমাদের তাহলে করণীয় কী হতে পারে এখন?

বায়েজিদ সরোয়ার: সত্যি কথা হলো, গত ৫২ বছরে আমরা নিকট প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমারের দিকে যতখানি নজর রাখা উচিত ছিল, তা হয়নি। জনগণের মধ্যে ভারত নিয়ে যতটা আলোচনা হয়; মিয়ানমার নিয়ে তা মোটেই হয় না। রোহিঙ্গার ঢল নামার পর আমাদের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা ঢলের পর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আমি বলব, এখন আমরা ওদিক থেকে যে কোনো বিপদ মোকাবিলায় সক্ষম। এখন আমাদের প্রয়োজন স্বল্পমেয়াদি ‘স্ট্রাটেজিক রেস্পন্স’। এ অবস্থায় শুধু সরকার নয়; বিরোধী দলগুলোসহ এ নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের মধ্যে ‘বার্মা চর্চা’ প্রমোট করা প্রয়োজন। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বা ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল’ কার্যকর করা প্রয়োজন। দক্ষিণ-পূর্ব কোণ থেকেই কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি এসেছে। তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান সংকট ঠান্ডা মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। সীমান্তে বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি, বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়, গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ। আরাকানের সংঘাত বন্ধে চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সমকাল: আরাকান আর্মিতে কি আমাদের কোনো যোগাযোগ আছে বলে মনে করেন?

বায়েজিদ সরোয়ার: বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতা হলো, রাষ্ট্রের পাশাপাশি নন-স্টেট অ্যাক্টররাও গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারে যেমন নন-স্টেট অ্যাক্টররা প্রধান ভূমিকায় চলে আসছে; মধ্যপ্রাচ্যেও হামাস, হুতি ইত্যাদির মাধ্যমে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। ফলে আরাকান আর্মি ও এনইউজি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। বিশেষত ট্রাক-টু ডিপ্লোম্যাসির মাধ্যমে। তবে ইদানীং আমাদের মিডিয়ায় আরাকান আর্মির প্রধানের সাক্ষাৎকার ছাপা হচ্ছে। এ নিয়ে জনপরিসরে আলোচনা হচ্ছে। অনেক ওয়েবিনারেও এনইউজির প্রতিনিধি অংশ নিয়েছে। আরাকান সংঘাত আমাদের নতুন নতুন বার্তা দিচ্ছে। সেসব বিবেচনায় রেখে কাজ করাই বাস্তবসম্মত বলে মনে হয়।

samakal