জাতীয় সংগীত নিয়ে সাবেক ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর দেওয়া বক্তব্যটি তার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত, তিনি দলের কেউ নন বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। রোববার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এতে বলা হয়েছে, আমান আযমী জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। জামায়াতের সঙ্গে তার সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। তিনি জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন, তা তার একান্ত ব্যক্তিগত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তার (আমান আযমী) বক্তব্যকে জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করার সুযোগ নেই। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামায়াত সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অবকাশ নেই।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আমান আযমীকে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে আট বছর গোপন বন্দিশালায় রাখা হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর মুক্তি পান।
গত ৩ সেপ্টেম্বর বন্দি জীবনের নির্যাতন তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে করেন আমান আযমী। সেখানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের প্রকৃত সংখ্যা ও জাতীয় সংগীতে প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সংবিধান এবং জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানান।
এ নিয়ে সমালোচনা মুখে বিবৃতি দিল জামায়াতে ইসলামী।
এদিকে রোববার রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সহানুভূতি বিনিময় অনুষ্ঠানে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আমান আযমীর বক্তব্য ব্যাখ্যার দায় জামায়াতের নয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার ৪৮ নাগরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জামায়াতে ইসলামীর আমির জাতিকে অতীতের সব কিছু ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অতীত বলতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই বোঝাতে চেয়েছেন’।
এ প্রসঙ্গে গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জামায়াত আমির এমন কথা বলেননি। তাই বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানাবে না জামায়াত।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। সংবিধান এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রয়োজন। ১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কারে দীর্ঘ সময় লাগবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সব সংস্কার সম্ভব না হলেও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে যেগুলো করা দরকার তা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগ শাসনামলে গঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গত ১৬ বছরে স হত্যা, খুন, গুমসহ অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার হবে।
samakal