আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করি, তবে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই না

ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল আউয়াল
ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল আউয়ালছবি: কবির হোসেন

৪৫ বছরের কর্মময় জীবন। শুরুটা জানতে চাই

জন্ম চাঁদপুর জেলার মতলব থানায়। আসল জন্মতারিখ অবশ্য জানি না। তবে স্কুল সার্টিফিকেটে দেওয়া আছে ১৯৫৪ সালের ১ জুলাই। মাকে যখন হারাই, তখন আমার বয়স পাঁচ বছরও হয়নি। বাবা সাধারণ কৃষক ছিলেন। দুই ভাই আর ছয় বোনের পরিবার। সবার ভরণপোষণই ছিল বাবার জন্য চ্যালেঞ্জের বিষয়। ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাস করে বরিশালের বিএম কলেজে ভর্তি হই। এইচএসসি হওয়ার কথা ছিল ১৯৭১ সালের মে মাসে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় ১৯৭২ সালের মে মাসে সেই পরীক্ষা দিয়ে পাস করি। ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হব। কিন্তু সেটা আর হয়ে ওঠেনি। পরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি, ভর্তি হই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)।

বুয়েটের পুরকৌশল (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগ থেকে পাস করে বের হই ১৯৭৭ সালে। এখানে মন খারাপের একটি বিষয় আছে। তা হলো পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি না পাওয়া। ফলে শিক্ষকতা করা আর হয়নি। করতে পারলে খারাপ হতো না। আর তাই পাস করেই শুরু হয় চাকরি খোঁজার পালা। প্রথম চাকরি ছিল রানা কনস্ট্রাকশন নামের একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে, সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে। চাকরিজীবনের প্রথম প্রকল্পই ছিল বুয়েটের অডিটরিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণ। এই প্রকল্পের নকশা ও নির্মাণ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ড. আলী মুর্ত্তাজা স্যার। কাজের ব্যাপারে আমার নিষ্ঠা ও একাগ্রতা দেখে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন বুয়েটে যোগ দিচ্ছি না। যখন বললাম প্রথম শ্রেণি পাইনি, শুনে বেশ অবাক হয়েছিলেন।

চাকরিজীবনের শুরুটা তাহলে কেমন ছিল

আবুধাবিতে ইসলাম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বিডিসিতে চাকরি হয়েছিল, যাইনি। এরপর চাকরি হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে, সহকারী প্রকৌশলী পদে। পোস্টিং ছিল চট্টগ্রাম ইলেকট্রিক সাপ্লাই, রিয়াজউদ্দিন বাজারে। বাণিজ্যিক এলাকার এই পেস্টিং অনেকের কাছেই লোভনীয় জায়গা। কিন্তু গিয়ে মনে হলো এই চাকরি আসলে আমার নয়। যোগ না দিয়েই চলে এলাম। ঢাকায় এসে কাজ শুরু করলাম বাংলাদেশ কনসালট্যান্ট লিমিটেডে (বিসিএল)। ১৯৭৮ সালে এখানে যোগ দেওয়া ছিল আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত। বিসিএলের সঙ্গে দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামটাও চলে আসে। দুটোরই প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এম মুহিবুল মজিদ। তিনি ১৯৫৩ সালে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাস করেছিলেন। ছিলেন তড়িৎ প্রকৌশলী, অথচ তিনি পুরকৌশল বিষয়ে দু–দুটি প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের তো কোনো তুলনাই হয় না। এই যে বাবুবাজার ব্রিজ, তারও নকশা করেছিলেন তড়িৎ প্রকৌশলী মুহিবুল মজিদ। এখানে চার বছর কাজ করার পর আরও বড় কিছু করার প্রত্যাশায় ইরাকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

ইরাকে যাওয়ার আগে এক ব্যবসায়ী ভদ্রলোকের একটি বাড়ির স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করে দিয়েছিলাম। তিনিই প্রথমে আমাকে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ১৯৮২ সালে ফিরে এসে সেই ভদ্রলোকের বাসায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গেলাম। তিনি তাঁর ব্যবসায়ী হওয়ার গল্পটা বললেন। শুনে আমারও মনে হলো চাকরি নয়, ব্যবসা করতে পারি।

ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল আউয়াল
ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল আউয়ালছবি: কবির হোসেন

কেন ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন

জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যার বলতেন, ঢাকা শহরের ৯০ শতাংশ বাড়িই ইঞ্জিনিয়াররা বানায়নি, মিস্ত্রিরা বানিয়েছে। আমি নিজেও বলি, ঢালাইকাজের সময় খুব কম ইঞ্জিনিয়ারই সেখানে উপস্থিত থাকেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হলেও এটা বলতেই হয় যে আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছি ঠিকই, তবে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই না, হতে চাই অফিসার। অফিসার হওয়ার অনেক সুবিধা। দায়িত্ব কম, ক্ষমতা বেশি। তা ছাড়া শরীরে কোনো ধুলাবালু লাগে না।

দেশের নির্মাণ খাতে তখন প্রকৌশলীদের প্রতিষ্ঠিত চার থেকে পাঁচটি কোম্পানি ছিল। সংখ্যায় তা যথেষ্ট ছিল না। আর এখন যত মেগা প্রকল্প হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার সঙ্গে প্রকৌশলীদের তৈরি প্রতিষ্ঠান জড়িত। তাঁরা এই পেশায় এসেছেন বলেই নির্মাণ খাতের চেহারা বদলে গেছে। রাস্তায় রেডিমিক্স কংক্রিট ট্রাকগুলো দেখলে ভালো লাগে। কংক্রিটের গুণগত মান যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আমরা এখন বুঝতে পারছি। এই কংক্রিটের গুণগত মানের ওপরই কিন্তু নির্ভর করে একটা ভবনের স্থায়িত্ব।

এসব ভেবেই নির্মাণ খাতে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করি। ১৪ বছর ঠিকাদারি ব্যবসা করেছি। ব্যবসা করলেও তাতে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলাম না। আমার পক্ষে নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক কিছুই মানিয়ে নেওয়া কষ্টকর ছিল। বিকল্প কিছু করার কথা ভাবতাম। আবাসন খাত আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এর আগে অবশ্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলাম দুই দফায়। ১৯৯১ সালে একবার ব্যবসা করতে, পরেরবার ১৯৯২ সালে চাকরি করতে। চাকরি পেয়েও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকেও দেশে ফিরে আসি। এটা ছিল আমার আরেকটা সেরা সিদ্ধান্ত। আগের সেরা সিদ্ধান্তটি ছিল বিএসএলে যোগ দেওয়া।

আবাসন ব্যবসার শুরুটা জানতে চাই

আবাসন খাতে ঢুকে যাওয়ার পেছনে অবশ্য সদ্য প্রয়াত স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ভাইয়ের বড় ভূমিকা আছে। সেটা ১৯৯৫ সালের কথা। তিনিই একদিন ফোন করে জানতে চাইলেন, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় ঢুকব কি না। বললাম, আবাসন ব্যবসা করতে পারি, কিন্তু আমাকে জমি কে দেবে। তিনি বললেন, জায়গা একটা আছে গ্রিন রোডে। জমির মালিক সুইডেন থাকতেন, তখন দেশে এসেছিলেন। মোবাশ্বের ভাই–ই কথা বলে আমাকে শর্তগুলো জানালেন। সেটা ছিল খুব সরল। সাড়ে ৬ কাঠা জায়গা আর সব মিলিয়ে দিতে হবে ৪৫ লাখ টাকা। এর ৩০ লাখ টাকা নগদ, সমান তিন কিস্তিতে। আর একটা ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে অসমাপ্ত অবস্থায় হস্তান্তর করতে হবে। টাইলসসহ ফিনিশিংয়ের কাজ জমির মালিক নিজের মতো করে করিয়ে নেবেন।

সে–ই শুরু। নিজের কাছে টাকাপয়সা তেমন ছিল না। তবু কষ্ট হলেও কাজটি শেষ করেছি। এতে সাহস বেড়ে গেল। সিদ্ধান্ত নিলাম, আর ঠিকাদারি ব্যবসা করব না, রিয়েল এস্টেটে ব্যবসাই চালিয়ে যাব। এরপর পল্লবী আর ধানমন্ডির শংকরে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও খুব কষ্ট হয়েছিল।

আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এলিফ্যান্ট রোডের একটি প্রকল্প। এখানে কিন্তু একটা ভালো গল্প আছে। চাওয়া-পাওয়ার গরমিলের কারণে জমির মালিকের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে আলোচনা সফল হচ্ছিল না। একসময় বাতিলই হয়ে গেল। কিন্তু একদিন সকালবেলা ফজরের নামাজের পর জমির মালিকের স্বামী ভদ্রলোক ফোন করে বাসার ঠিকানা চাইলেন। তিনি বাসায় এসে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে বললেন কাজটা যাতে শুরু করি। সেই প্রকল্পে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হই। প্রকল্পের কাজ শুরু করতে না করতেই আমাদের অংশের সব কটি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত কিছু টাকা হাতে আসে, যা দিয়ে পল্লবী ও ধানমন্ডির দুটি প্রকল্প দ্রুতই শেষ করে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিই। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

আপনি গুণমানের ওপর অনেক বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন, তাতে লাভ হচ্ছে?

আসলে শুরু থেকেই কোয়ালিটি বা গুণমানের ওপর নজর দিয়ে আসছি। এই গুণমান যে কেবল পণ্যের বা প্রকল্পের, তা নয়; মানুষেরও। কারণ, মানুষের গুণগত মান বাড়লে উৎপাদনশীলতা বাড়বে, খরচ কমবে। অথচ এই জায়গাতে আমরা গুরুত্ব দিই না। নতুন একজনকে নিয়োগ দিয়ে তাঁকে কাজে লাগিয়ে দিই। কিন্তু কাজটা কী, সেটাই হয়তো তিনি জানেন না। আমরা তাঁর কাছে কী চাই, সেটাও বলে দিচ্ছি না। প্রশিক্ষণ তো পরের কথা। অথচ কোনো একটা বিষয় পাঠ্যপুস্তকে পড়ে আসা আর বাস্তবে কাজ করা এক বিষয় নয়। যেমন আমি ইঞ্জিনিয়ার কাউকে সামনে পেলেই প্রশ্ন করি, পাঁচ ইঞ্চি দেয়াল প্লাস্টার করলে কত ইঞ্চি হয়। বিশ্বাস করবেন না হয়তো, কেউ এর সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। অনুমানভিত্তিক উত্তর দেয় সবাই। চোখ খুলে আসলে কেউ দেখেই না। আমরা সবাই জানি, ইটের প্রস্থই হচ্ছে সাড়ে চার ইঞ্চি। দুই দিকে আধা ইঞ্চি করে প্লাস্টার করার পর হওয়ার কথা সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি। কিন্তু বাস্তবে ছয় ইঞ্চির কম হয় না। যদি তা–ই হয়, তাহলে বাড়তি আধা বা এক ইঞ্চি দেয়ালের উপকরণ কোথা থেকে আসবে, খরচের হিসাবটা কী হবে। আর আমি যদি সঠিক মাপের দেয়াল বানাতে পারি, তাহলেই তো খরচ কমবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান এসব বিষয়েই গুরুত্ব দিচ্ছে। কীভাবে আর কোথায় সাশ্রয় করা যায়, সেটা বের করছি। আমাদের খরচ যেমন কমাতে হবে, কাজের মানও বাড়াতে হবে। এ জন্যই মানুষের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

এসইএলের সুনাম ও বিশ্বাস অর্জনের রহস্য কী

আমাদের প্রতিষ্ঠানের লোগোর সঙ্গেই তিনটি কথা লেখা আছে। যেমন ‘হাউস অব টোটাল কোয়ালিটি, ট্রাস্ট এবং ফেইথ’। এ কথাগুলো এমনি এমনি লেখা হয়নি। আমাদের আরেকটি স্লোগান হচ্ছে, ‘কোয়ালিটি কাম ফার্স্ট প্রফিট ইজ লজিক্যাল সিকোয়েন্স’। এটা জাপানি ব্যবস্থাপনার দর্শন, যা আমরাও বিশ্বাস করি।

আর কোয়ালিটির অর্থ তো কেবল কাজের ভালো মান নয়। সময়মতো প্রকল্প সরবরাহ করা, এর স্থায়িত্ব, তৈরি করা আবাসনটি দেখতে কেমন, ব্যবহার করে কেমন আরাম—এসবও কোয়ালিটির অংশ। আসলে কোয়ালিটি গুণমানের অনেকগুলো স্তর আছে। আমাদের নজর সব দিকেই। আর আমাদের আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে আমাদের সবকিছুই ইন–হাউস, ফলে যেকোনো ক্ষেত্রে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। আমাদের কাজ কোনো সিদ্ধান্তের জন্য আটকে থাকে না।

আমার কিন্তু কোনো ব্যাংকঋণ নেই। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের ওপর সরবরাহকারী ও গ্রাহকদের আস্থার কারণে। সরবরাহকারীরা শর্তহীনভাবে আমাদের পণ্য সরবরাহ করেছেন। গ্রাহকেরা আমাকে এতটাই বিশ্বাস করেন যে টাকা রেখে চলে যান, প্রাপ্তি রসিদের জন্য অপেক্ষাও করেন না। তবে এই আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক তো এক দিনে তৈরি হয়নি।

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের ভূমিকম্পের কারণে প্রসঙ্গটি এসেই যায়। বাংলাদেশের কী করণীয়

আমি ভূমিকম্প নিয়ে শঙ্কিত। এখানে ভূমিকম্প হলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলবে। কারণ, মাটির নিচে গ্যাসলাইন, ওপরে বিদ্যুতের লাইন। আর আগুন না লাগলেও উদ্ধার করতে আসবে কীভাবে। রাস্তা তো সরু। আমি মনে করি, তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে ঢাকার চেহারা পাল্টে ফেলা যায়। রাস্তা বড় করা সম্ভব। বিশেষ করে, ২০ ফুটের কম যে রাস্তা, তা বাড়ানোর সুযোগ আছে।

সদ্য গেজেটকৃত ড্যাপের তথ্যমতে, ঢাকার ৯০ শতাংশের বেশি রাস্তাই ২০ ফুটের কম। অথচ রাজউকের বিধিমালা ১৯৮৪, ১৯৯৬ ও ২০০৮–এর সব বিধিমালা অনুযায়ীই রাস্তার কেন্দ্র থেকে ১৫ ফুট বা বাউন্ডারি দেয়াল থেকে ৫ ফুট দূরে ভবন বানাতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটা মানা হয়নি। তবে এটা ঠিক যে রাস্তার ওপর বাড়ি বানালেও কলামটা কিন্তু ন্যূনতম তিন ফুট ভেতরেই থাকে। বাড়ির ভিত বা ফাউন্ডেশন দিতে হলে এটা লাগে। রাস্তার ওপর কেউ ভিত দেয় না। এ অবস্থায় বাড়ি না ভেঙেই রাস্তা বড় করা সম্ভব। কেবল বাউন্ডারি দেয়ালটাকে সরিয়ে কলামের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এতেই দুই পাশে তিন ফুট করে মোট ছয় ফুট রাস্তা বড় হয়ে যাবে। ঢাকার অনেক এলাকাবাসী কিন্তু এভাবে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে রাস্তা বড় করেছেন। এ জন্য কেবল একটু উদ্যোগ দরকার। রাজউক বা সিটি করপোরেশন চাইলেই এ কাজ করতে পারে।