আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও জ্বালানিসংকটের কারণে চাপে বাংলাদেশ

logo

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

(১৫ ঘন্টা আগে) ৭ জুন ২০২৩, বুধবার, ৫:২০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৫:২১ অপরাহ্ন

mzamin

কয়েক মাস ধরে আমদানির ওপর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এতে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে। পাশাপাশি রয়েছে জ্বালানিসংকটও। এসব কারণে দেশের শিল্প উৎপাদন ও পরিষেবা- এ দুই খাতে বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলছে, গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের জন্য একটি ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এই ঋণ নেয়ার পেছনে বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য রক্ষা করা এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসা।

মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নিয়ে আগের পূর্বাভাসই বহাল রাখা হয়েছে।

গত জানুয়ারি মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিশ্বব্যাংক। সেখানে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে- এমন পূর্বাভাস দিয়েছিল। এ ছাড়া আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই পূর্বাভাস বহাল রেখেছে সংস্থাটি।

যদিও সরকার চলতি ও আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। 

বিশ্বব্যাংক বলেছে, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য ব্যাহত হওয়া ও বিনিময় হারের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশসহ নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। এর ফলে এসব দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তবে এখন আন্তর্জাতিক লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এ কারণে এসব দেশে আমদানি নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা হচ্ছে।

আমদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেশ কিছু খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্বব্যাংক বলছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমে এসেছে। তা সত্ত্বেও এসব দেশ বিদ্যমান খাদ্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ২০২৩ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে পারে। এ ছাড়া দেশে কর্মসংস্থানের উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন। তবে পরিবারের প্রকৃত উপার্জন এখনো মহামারির আগের পর্যায়ে যেতে পারেনি বলেও জানায় বিশ্বব্যাংক।