ডিজেল ও কেরোসিনের দাম জুনের জন্য লিটারে ৭৫ পয়সা করে বাড়ানো হয়েছে। লিটারে আড়াই টাকা করে বাড়ানো হয়েছে পেট্রল ও অকটেনের দাম। নতুন দর অনুযায়ী, আগামীকাল থেকে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম পড়বে ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা। পেট্রলের দাম পড়বে লিটারে ১২৭ টাকা এবং অকটেনে ১৩১ টাকা।
গতকাল রাতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে নতুন দর নির্ধারণের কথা জানানো হয়। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গত মার্চ থেকে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু হয়। এ হিসাবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করছে সরকার। আগের মাসের প্রজ্ঞাপনেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। এবারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।
চলতি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ছিল ১০৭ টাকা। পেট্রলের ছিল ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা। ১২৮ টাকা ৫০ পয়সা ছিল অকটেনের দাম। গত এপ্রিলের জন্য প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। অপরিবর্তিত রাখা হয় পেট্রল ও অকটেনের দাম। ওই মাসে প্রতি লিটার পেট্রল ১২২ ও অকটেন বিক্রি হয় ১২৬ টাকায়।
এর আগে গত ৭ মার্চ ঘোষিত দামে চার ধরনের জ্বালানি পণ্যের দাম কমায় সরকার। ওই সময় প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৬ ও পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সককার। এরই অংশ হিসেবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ ফর্মুলার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহার হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সবসময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়। ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের আগস্টে গড়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২৩ দিনের মাথায় সব জ্বালানি তেলের লিটারে ৫ টাকা করে কমানো হয়।
ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম জ্বালানি বিভাগ নির্ধারণ করে। এছাড়া উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।