- by নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে পৌঁছেছে ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথি। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে এগুলো পাঠানো হয়।
সূত্রমতে, ৬ হাজার ৬২৭ পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স ও মামলার নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছেছে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় দিয়েছিলেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান। সে সময় ২২ আসামি আদালতে হাজির করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মোজাহিদুর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, শামীম বিল্লাহ, মাজেদুর রহমান মাজেদ, খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মিজানুর রহমান, শামছুল আরেফিন রাফাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ ও এসএম মাহামুদ সেতু।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা, সদস্য আকাশ হোসেন ও মোয়াজ আবু হোরায়রা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার নেতাকর্মীরা। পরদিন আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। বাকিরা এখনও পলাতক রয়েছেন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৮ জন।