- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ আগস্ট ২০২২, ২২:৫৯
আফগানিস্তানের কাছে পাত্তাই পেলো না শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বোলিং দাপটে কোনোরকমে শত রান পার করে লঙ্কানবাহিনী। বল হাতে তাদের অবস্থা যেন আরো ভয়াবহ। ২০ ওভারের খেলায় ১০ ওভারেই সহজ জয় তুলে নিয়েছে আফগান শিবির।
শনিবার আসরের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। ১৯ ওভার ৪ বলে ১০ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ১০৫। সহজ লক্ষ্য টপকাতে আফগানদের খেলতে হয় ১০ ওভার।
১০৬ রানে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন দু’অপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই ও উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ। উদ্বোধনী জুটিতে তুলে নেন ৮৩ রান। সপ্তম ওভারে রহমানুল্লাহ গুরবাজ যখন আউট হয় ততক্ষণে তার সংগ্রহে ৪০ রান। যেখানে তিনি ২২২ স্ট্রাইট রেটে খেলেছেন মাত্র ১৮ বল।
এরপর ব্যক্তিগত ১৫ রান করে ইব্রাহিম জাদরান যখন রান আউটে ফেরেন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩ রান। এ দিন হজরতুল্লাহ জাজাই ২৮ বলে করেন ৩৭ রান। জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ফজল হক ফারুকির করা ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ দু’বলে দুই উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা।
পঞ্চম বলে ওপেনার কুশল মেন্ডিস (২) এলবিডব্লু হলে রিভিউতে জিতে যান ফারুকি। পরের বলে চারিথ আসিলাঙ্কা এলবডব্লু হলে আর রিভিউ নিতেও হয়নি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর থেকেই দুর্দান্ত ফারুকি। চলতি ম্যাচের আগে ৯ ম্যাচে নেন ৯ উইকেট।
দ্বিতীয় ওভারে নাভিন উল হকের শেষ বলে আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ক্যাচ তুলে দেন উইকেট রক্ষক রহমানউল্লাহ গুরবাজের হাতে।
এরপর নিজেদের সামলে নেয়ার চেষ্টায় লঙ্কানরা। তবে এ দিন নিজেরা আফগানদের সামনে ঘুরে দাঁড়াতে ফের ব্যর্থ হয় ৮ম ওভারে। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে দানুশকা গুনাথিলাকার উইকেট তুলে নেন মুজিব উর রহমান। এরপর ফের দশম ওভরে লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানে মুজিব।
১১তম ওভারে মোহাম্মদ নবী তুলে নেন অধিনায়ক দাসুন শানাকার উইকেট।
এরপর ধীর গতিতে উইকেট ধরার পাশাপাশি রান তুলার চেষ্টায় থাকে শ্রীলঙ্কা। ১৩তম ওভারে মহেশ থেকশানাকের উইকেটের আর থিতু হতে পারেনি মাথিশা পাথিরানা।
শেষের দিকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান চামিকা করুণারত্নে। তার ৩১ রানে ভর করে লঙ্কানদের সংগ্রহ পৌঁছায় শত রানের কোটায়।
আফগানদের হয়ে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ফজল হক ফারুকী নেন ৩ উইকেট। মুজিব উর রহমান ও অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী নেন ২টি করে উইকেট। এ ছাড়াও নবীন-উল হক নেন ১ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ভানুকা রাজাপাকসে করেন ৩৮ রান। এ ছাড়াও ৮ ক্রিকেটার পৌঁছাতে পারেনি দু’অঙ্কের কোটায়।