চার বছরের বেশি সময় পর বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান দল। সেই সময় দলের মাত্র দু’জন আছেন এবার পাকিস্তান দলে। নেতৃত্ব দেয়া সালমান আগাও কখনো আসেননি ঢাকাতে।
বলা যায়, নতুন এক দল নিয়েই তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান। অভিজ্ঞ বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান নেই দলে। নেই শাহীন আফ্রিদি, শাদাব খানও।
অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা না থাকলেও বাংলাদেশের মাটি বেশ চেনা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। বিপিএলের কল্যাণে বেশ জানাশোনা আছে মিরপুর সম্পর্কেও। ১৬ সদস্যের দলের নয়জনই বিপিএল খেলেছেন নানা সময়ে।
শুধু তাই নয়, পাশাপাশি পাকিস্তানের কোচিং স্টাফেও আছেন বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোচ। ফিল্ডিং কোচ শন ম্যাকডরমট এর আগে ছিলেন লিটন দাসদের দায়িত্বে। সুতরাং বেশ প্রস্তুত সফরকারীরা।
এদিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। দুই দল এখন পর্যন্ত ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। যেখানে মাত্র দু’টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
তার চেয়েও বড় কথা সবশেষ ১২ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একটিও জয় নেই। সময়ের হিসেবে নয় বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে জয়খরা চলছে টাইগারদের।
সবশেষ ২০১৬ সালে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে ৫ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে পাকিস্তানের সাথে টি-টোয়েন্টি
জয়ের অপেক্ষা যেন আর ফুরোয় না।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে লিটন অবশ্য বললেন, ইতিবাচক মানসিকতায় আগের সব রেকর্ড বদলানোর লক্ষ্য তাদের। জানালেন, সেরা ক্রিকেট খেলার কথা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। সবকিছু তৈরি হয় ইতিহাস হওয়ার জন্য। আর রেকর্ড কিন্তু ভাঙাও হয়। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না।’
‘ওই রেকর্ডের চিন্তা না করে, আমরা কী করতে পারি, আমাদের কতখানি সামর্থ্য আছে, কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে ওই সব জিনিসই আগের রেকর্ড বদলে যাবে,’ যোগ করেন লিটন।
এই সিরিজে বাংলাদেশের বড় প্রেরণা হতে পারে সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফর। সেখানে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথমবারের মতো তাদের মাটিতে সিরিজ জয়ের ‘সুখ’ পায় টাইগাররা। ফেরেন ট্রফি নিয়ে।
ফলে তিন দিনের ব্যবধানে শুরু হতে যাওয়া নতুন এই সিরিজে আত্মবিশ্বাসের কমতি থাকবে না। তবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টানা সিরিজ জয়ের নজির নেই তেমন। মাত্র দুইবার দেখা গেছে এমন কীর্তি।
২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে পরপর সিরিজ হারায় বাংলাদেশ। আর ২০২২-২৩ সালে হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানকে।
এবার পাকিস্তানকে হারিয়ে আবারো টানা সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টার কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টই বলেছেন, ‘চেষ্টার কখনো কমতি থাকবে না।’
এদিকে আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত হওয়ায়, এশিয়া কাপের আগে এটিই বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। তাই দল গুছিয়ে নেয়ারও শেষ সুযোগ এটি। তা জানেন লিটনও, চেষ্টা করছেন তেমন করেই।
উল্লেখ্য, তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আজ (রোববার) মাঠে নামছে বাংলাদেশ। মিরপুরে পাকিস্তানকে আতিথ্য দেবে টাইগাররা। খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।