
চলতি মৌসুমের প্রথম দুই দেখায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। তৃতীয় ম্যাচটি ছিল গতকাল (শনিবার), কোপা দেল রের ফাইনাল ও এল-ক্লাসিকো ম্যাচটি অবশ্য একপেশে ছিল না। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, সবমিলিয়ে দেখা গেল ৫ গোল এবং ৩টি লাল কার্ড। এমন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের দিনই নাকি লামিনে ইয়ামাল সতীর্থ রোনাল্দ আরাউহোকে বলেছিলেন– ‘এই মৌসুমে বার্সাকে হারাতে পারবে না রিয়াল।’
সেভিয়ার দে লা কার্তুহা স্টেডিয়ামে বল মাঠে গড়ানোর আগে চরম নাটকীয়তা ছিল রেফারিকে কেন্দ্র করে। এরপর খেলার প্রথমার্ধে পেদ্রির গোলে বার্সার লিড এবং দ্বিতীয়ার্ধে অঁহেলিয়ে চুয়ামেনি সমতা টানার পর, কিলিয়ান এমবাপের গোলে ম্যাচের লাগাম যায় রিয়ালের হাতে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই বার্সার পক্ষে ফেররান তোরেস ২-২ স্কোর গড়েন। অতিরিক্ত আরও ৩০ মিনিটের খেলাও ছিল শেষদিকে। কিন্তু ১১৬ মিনিটে শিরোপা নির্ধারণী গোলে (৩-২) বার্সার শিরোপা নিশ্চিত করেন জুল কুন্দে।
এর আগের দুই দেখায় চলতি মৌসুমে বার্সার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছিল রিয়াল। লা লিগায় ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই ৪-০ এবং স্প্যানিশ সুপারকাপের ফাইনালে ৫-২ গোলে জিতে কাতালানরা। সেখান থেকেই হয়তো নিজেদের আত্মবিশ্বাসটা আসে লামিনে ইয়ামালদের। অবশ্য এটাই যে স্বাভাবিক, এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল এবং লা লিগায় ৪ পয়েন্ট ব্যবধানে টেবিল টপাররা যে ট্রেবলের স্বপ্ন-ই দেখবে। তাই কোপা দেল রের ফাইনালের আগেও রিয়াল দাঁড়াতে পারবে না বলে গলায় জোর দিয়ে বলতে পেরেছিলেন স্প্যানিশ তারকা ইয়ামাল।
কোপার শিরোপা জয়ের পর ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ হোটেলে থাকতেই আমি রোনাল্দকে (বার্সা ডিফেন্ডার আরাউহো) বলেছিলাম, ‘‘যদি তারা এক গোল করে, কোনো সমস্যা নেই। যদি তারা দুই গোল করে? তাতেও অসুবিধা দেখছি না। তারা এই বছর আমাদের সামলাতে পারবে না।’’ সেটাই প্রমাণ করলাম, এখন আমি অনেক খুশি।’