আগামী ৫০ বছরেও বিএনপির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই : হানিফ

Daily Nayadiganta (নয়া দিগন্ত) : Most Popular Bangla Newspaper

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাহবুব উল আলম হানিফ। – ছবি : নয়া দিগন্ত

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে মহাসড়কে পা রেখেছে। উন্নয়ন-অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকলে এ দেশের জনগণ সবসময় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল থাকবে। তাই বিএনপির আগামী ৫০ বছরেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই। এটি বুঝতে পেরে তারা এখন হতাশ। আর হতাশা থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যাচার করে রাস্তায় নামছে।

শনিবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ। বর্ধিত সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহবুব উল আলম হানিফ আরো বলেন, বিএনপি বিরোধী দলে থাকাবস্থায় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে জনগণের ওপর বার বার আক্রমণ করেছে। যার ফলে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই জনবিচ্ছিন্নতার কারণেই তারা দিশাহারা হয়ে সকালে এক কথা আবার বিকেলে আরেক কথা বলে। নানা ধরনের মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাদের লক্ষ্য একটাই দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করা।

তিনি বলেন, বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে সে সম্পর্কে সরকার সজাগ আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো অশুভ তৎপরতাকে রুখে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তিনি এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও সজাগ থাকার আহবান জানান।

নতুন নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপির এখন ইস্যু হলো নির্বাচন কমিশন। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের প্রধানমন্ত্রী তালিকা দিয়েছে আর রাষ্ট্রপতি গ্যাজেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে। এটি ছিল তাদের নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া।

শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে নির্বাচন কমিশন গঠনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ পন্থা অবলম্বন করেছেন। রাষ্ট্রপতি সব দলের সাথে সংলাপের মাধ্যমে পরামর্শ করে তাদের দেয়া নামের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠন করে; সার্চ কমিটির নামগুলো যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। এটাই ছিল গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সবচেয়ে উত্তম পন্থা।

পরে বর্ধিত সভায় আগামী ২৮ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন মাহবুব উল আলম হানিফ।