- ২৪ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে পৌঁছানোর পর তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয় এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন। এ ঘটনার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

এই ঘটনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে না দেখে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে বর্ণনা করেছেন আখতারের রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা। মঙ্গলবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা দাবি করেন, আখতার হোসেনের রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই এই হামলা চালানো হয়েছে। তার মতে, আখতার এমন একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, যা ‘ফ্যাসিবাদের কাঠামো’ ভাঙতে কাজ করছে এবং এই হামলা ‘পরাজিত শক্তির ভয় ও হতাশা’রই বহিঃপ্রকাশ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের এই হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়েছেন। সোমবার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি হামলাকারীদের ‘পতিত স্বৈরাচারের শাবক’ হিসেবে উল্লেখ করে এর জন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
একইসঙ্গে আব্দুল কাদের এই সফরের সঙ্গী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ড. ইউনূস রাজনৈতিক নেতাদের বিপদের মুখে অরক্ষিত রেখে নিজে নিরাপদে চলে গেছেন, যা ভবিষ্যতে তার আচরণের বিষয়ে সন্দেহের উদ্রেক করে।
উভয় নেতাই মনে করেন, এই আক্রমণে আখতার হোসেন দুর্বল হবেন না, বরং তার দৃঢ়তা আরও বাড়বে। তাসনিম জারা বলেন, ‘এই আক্রমণ আখতার হোসেনকে এক বিন্দুও দুর্বল করবে না’।
আব্দুল কাদেরও জানান, এ ধরনের হামলার মাধ্যমে বিপ্লবীরা আরও বেশি অঙ্গীকারবদ্ধ হয় এবং আখতারদের হাতেই স্বৈরাচার ও তার অনুসারীদের ‘পূর্ণ বিনাশ’ হবে।