মানবজমিন : টানা কর্মসূচি পালনের মধ্যে নতুন করে আরও ৫ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এরমধ্যে ১টি রাজনৈতিক ও ৪টি সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৩রা অক্টোবর সাভারের আমিন বাজারে মহাসমাবেশ। এ ছাড়া ৭ই অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, ১০ই অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেলসেতুর উদ্বোধন, মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ উদ্বোধন এবং ২৮শে অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সুধী সমাবেশ। গতকাল রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা ও বিভিন্ন অঞ্চলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের যৌথসভা শেষে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে কঠিন এক চ্যালেঞ্জে আছি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই যৌথ সভার আয়োজন। এ সময় তিনি বিএনপিকে প্রতিপক্ষ নয়, শত্রুপক্ষ বলে মন্তব্য করেন। রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার বিষয়ে সংবেদনশীল। তিনি (শেখ হাসিনা) খালেদা জিয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ উদারতা দেখিয়েছেন।
তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভয়েস অব আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সাক্ষাৎকারে খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। বিএনপি প্রধানের চিকিৎসার বিষয়ে প্রচলিত আইনে সরকারের কিছু করার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্দেশ মেনে তাকে চিকিৎসা করাতে হবে। আওয়ামী লীগ অবৈধ দল হলে তাহলে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তির কিংবা বিদেশে পাঠানোর জন্য অনুমতি চাওয়া হয়?
প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে কথার সীমারেখা মানা উচিত। আ স ম আব্দুর রবও একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে আ স ম আব্দুর রব উদাহরণ হতে পারে না। হাজী সেলিমও কিন্তু আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। আওয়ামী লীগ শূন্যে ভেসে হাওয়ায় উড়ে কিংবা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় বসেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আল্টিমেটামেও বিএনপি ব্যর্থ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১৫ বছরে অনেকবার বিএনপি’র হাঁকডাক শোনা হয়েছে। বিএনপি’র বিভিন্ন সময় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আসন নিয়ে তিরস্কার করে সমালোচনা করেছিল, যা ছিল বিএনপি’র অহংকার, দম্ভ। যারা আওয়ামী লীগের পতন দেখছে তাদের নিজেদের পতন হয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। রাজনীতিবিদদের বেফাঁস কথা বলা থেকে দূরে থাকা উচিত, বক্তৃতা বিবৃতিতে বেফাঁস কথা না বলার পরামর্শও দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড কিংবা পোস্টার ফেস্টুন করে প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এক এগারোর মতো অস্বাভাবিক সরকার তৈরি করার সুগভীর ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি, তাদের একমাত্র টার্গেট হচ্ছে শেখ হাসিনাকে হটানো। আগামী ৪ঠা অক্টোবর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি আমাদের জন্য অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা নিয়ে এসেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে সংবর্ধনা দেয়ার আওয়ামী লীগের প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন।