হুট করে চোখ পড়লে দেখতে একটু অদ্ভুতই লাগে। আইফেল টাওয়ারের সামনে সাতটি ‘ছাগল’–এর ভাস্কর্য, সেটাও আবার সোনালি রংয়ের!
ডান পা তুলে দাঁড়ানো সেসব ছাগলের ভাস্কর্যের পায়ের তলে আবার সোনালি রংয়ের বল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি আলোড়ন তুলেছে। আইফেল টাওয়ারের সামনে হঠাৎই কেন এসব আয়োজন?
প্যারিসে কাল রাতের কথা ভাবলেই সব জটিলতার অবসান ঘটে যাবে। ব্যালন ডি’অর জিতেছেন এ প্যারিসেরই ক্লাব পিএসজির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। এ নিয়ে সাতবার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতলেন মেসি।
তাঁর প্রতি নৈবেদ্যর প্রকাশ থেকেই এই আয়োজন করে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। ইনস্টাগ্রামে ছবিটি পোস্ট করে অ্যাডিডাসের পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘অসামান্য ইতিহাস।’
ফুটবল ইতিহাসে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় কে? লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে এই বিতর্ক কখনো শেষ হওয়ার নয়। কিন্তু পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জেতা রোনালদোকে টপকে মেসি এবার সপ্তমবারের মতো পুরস্কারটি জেতার পর অনেকেই এগিয়ে রাখছেন আর্জেন্টাইন তারকাকে।
ইংরেজি ‘GOAT’ শব্দকে সমর্থকেরা ভেঙে বোঝান—‘গ্রেটেস্ট অব অলটাইম।’ মেসি ও রোনালদোর জন্য এ শব্দ অহরহই প্রয়োগ করে থাকেন সমর্থকেরা। অ্যাডিডাসও হেঁটেছে সে পথে। মেসিকে নৈবেদ্য দিতে তাই আইফেল টাওয়ারের সামনে ‘গোট’, অর্থাৎ ছাগলের মূর্তি ও বল রেখেছে তারা।
অ্যাডিডাসের সঙ্গে পৃষ্ঠপোষক চুক্তি আছে মেসির। বিইন স্পোর্টসের সংবাদকর্মী তানক্রেদি পালমেরি এ ছবি টুইট করে লিখেছেন, ‘ফ্রান্স ফুটবল নয়, মেসির পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই এটা।’
ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের দেওয়া গত বছরের সেরা খেলোয়াড়ের এ পুরস্কার জয়ের দৌড়ে ফেবারিট ছিলেন মেসি। ভোটাভুটিতে লেফানডভস্কিকে হারিয়ে নিজের সর্বোচ্চসংখ্যক ব্যালন ডি’অর জয়ের রেকর্ডকে আরও এক ধাপ উঁচুতে নিয়ে যান ৩৪ বছর বয়সী তারকা।
সর্বোচ্চ ৬১৩ পয়েন্ট পেয়ে পুরস্কারটি জিতেছেন মেসি।